বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গেল। দু’দিনের সফরে শুক্রবার বাংলায় এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। আজ হুগলির আরামবাগে সভা করলেন তিনি। রাতটা রাজভবনে কাটিয়ে আগামীকাল কৃষ্ণনগরে সভা করার কথা আছে তাঁর। সেই সঙ্গেই ২২,০০০ কোটির প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন বলেও খবর।
ঝাড়খণ্ড থেকে হেলিকপ্টারে বাংলায় (West Bengal) এসেছেন প্রধানমন্ত্রী। আরামবাগে একাধিক কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। জনসভার পাশাপাশি একটি সরকারি অনুষ্ঠানও আছে। আগামীকাল হেলকপ্টার করেই কৃষ্ণনগরে যাওয়ার কথা আছে তাঁর। আজ আরামবাগের সভায় রাজ্যের একাধিক ইস্যু নিয়ে সরব হতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রীকে (Prime Minister)। সেই সঙ্গেই শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকেও (Trinamool Congress) একহাত নেন তিনি।
গত প্রায় দু’মাস ধরে সংবাদের শিরোনামে থাকা সন্দেশখালি ইস্যুর (Sandeshkhali Issue) তীব্র নিন্দা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, সন্দেশখালিতে যা ঘটেছে তা দেখে হয়তো রাজা রামমোহন রায়ের আত্মাও কাঁদছে। নরেন্দ্র মোদীর কথায়, ‘পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা আজ গোটা দেশ দেখছে। তৃণমূল মুখেই শুধু মা-মাটি-মানুষের কথা বলে। সন্দেশখালির ঘটনায় গোটা দেশ শিহরিত। তা দেখে হয়তো আজ রাজা রামমোহন রায়ের আত্মাও কাঁদছে’।
এখানেই না থেমে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্দেশখালির মা-বোনেরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন। শেষ অবধি তাঁদের আন্দোলনের সামনে মাথা নত করতে বাধ্য হয়েছে রাজ্য পুলিশ। ভোটের মাধ্যমে সকল চোটের জবাব দিতে হবে, সুড় চড়ান প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুনঃ রাজনৈতিক পরিচয় মোছার পর এবার ইস্তফা! মমতাকে জানিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলেন কুণাল
সন্দেশখালি ঘটনা প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখার সময় নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘দুঃসাহসের সব সীমা অতিক্রম করে গিয়েছে তৃণমূল। সন্দেশখালির মা-বোনেরা মমতা দিদির কাছে সাহায্য চেয়েছিল। তবে কেউ তো এতদিন অভিযুক্তদের আড়াল করে রেখেছিল। সন্দেশলখালির মা-বোনেদের আন্দোলনের কাছে মাথা নত করেছে বাংলার পুলিশ। মা-বোনেদের সঙ্গে যা হয়েছে তার জবাব দিতে হবে। সকল চোটের জবাব ভোটের মাধ্যমে দিতে হবে’।