বাংলাহান্ট ডেস্ক : মিনাখাঁর তৃণমূল বিধায়ক উষারানি মণ্ডলকে ভোটের আগে দেখা যাচ্ছিল না দলের হয়ে কাজ করতে। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন বসিরহাটে গিয়ে। উষারানি ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে বিজেপি ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ তুলে মমতা বলেন পায়ে ধরে ক্ষমা না চাইলে সম্পর্ক থাকবে না উষারানির সাথে। তৃণমূলের এই ‘অভ্যন্তরীণ’ ইস্যু নিয়ে এবার প্রচার মঞ্চ থেকে প্রকাশ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তোপ দাগলেন। বারাসত ও বসিরহাট কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে অশোকনগরে নির্বাচনী সভায় উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
সেই সভা থেকে কটাক্ষ করে মোদি (Narendra Modi) বলেন, শাহজাহানের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে যারাই মুখ খুলেছে, তাদের মুখই বন্ধ করে দিয়েছে তৃণমূল। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তৃণমূল দলের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে মাথা ঘামানোয় বেজয় বিরক্ত ঘাসফুল শিবির। মিনাখাঁর তৃণমূল (Trinamool Congress) বিধায়ক উষারানি মণ্ডলকে (Usharani Mondal) নিয়ে এর আগেও বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। তার বাংলাদেশি পরিচয় নিয়ে তৈরি হয় বিতর্ক। যদিও সেই ব্যাপারটি নিয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেয়নি তৃণমূল।
আরোও পড়ুন : রেমাল তান্ডবে ‘শেষ’ বাংলাদেশ! প্রাণ গেল ১০ জনের, ধ্বংস ৩৫ হাজার বাড়ি, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন পৌনে ৩ কোটি
তবে নির্বাচনের আগে উষারানির বিরুদ্ধে নির্বাচনী প্রচারে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে দলের অভ্যন্তরেই। রবিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বসিরহাটের তৃণমূল প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলামের হয়ে প্রচারসভা করেন। সেই সভাতেও দেখা যায়নি উষারানিকে। ক্ষুদ্ধ দলনেত্রী এদিন বলেন, “আপনি আর আপনার স্বামী মিলে দলটাকে বেচে দেবেন ভেবেছেন? তা হবে না। পায়ে ধরে ক্ষমা না চাইতে হবে। নইলে তাঁর সঙ্গে আমার সম্পর্ক ত্যাগ করলাম।”
জানা যায়, এরপর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে ডেকে পাঠান উষারানি ও তার স্বামীকে। স্পষ্টভাবে বলে দেন যে দল আগে। দলের হয়ে প্রচার করতে হবে। তারপর জানা গেছে, মঙ্গলবার থেকে নাকি প্রচারে নেমেছেন উষারানি।অন্যদিকে, নরেন্দ্র মোদি আজ নির্বাচনী জনসভা থেকে বসিরহাটের বিজেপি (BJP) প্রার্থী রেখা পাত্রর প্রশংসা করে বলেন, “শাহজাহানদের দমন করতে রেখা পাত্রদের প্রয়োজন। তাই চব্বিশের নির্বাচনে বসিরহাট থেকে রেখা পাত্রকে জেতান।”