বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দু’দিন আগেই জানানো হয় প্রধানমন্ত্রী মোদীর ২২ এবং ২৪ তারিখের পূর্ব নির্ধারিত জনসভা গুলো একইসাথে হবে ২৩ তারিখ অর্থাৎ শুক্রবার। ৫০০ জন দর্শক নিয়ে মালদহ, বহরমপুর, সিউড়ি ও কলকাতার মোদীর জনসভা গুলো অনুষ্ঠিত হতে চলছিল। সেই মত আগামীকাল শহিদ মিনারের ময়দানে স্বল্প সময়ের জন্য মোদীর সভার সূচি ও পরিকল্পনাও ঘোষণা করেছিল বিজেপি। সেই সম্প্রচার হতে চলছিল শহরের পাড়ায়-পাড়ায়, অলিতে-গলিতে, বাজারঘাটে।
এর জন্য প্রায় তিন শতাধিক এলইডি স্ক্রিন লাগানোর পরিকল্পনা করেছিল বিজেপি। ভার্চুয়ালি যেন সবাই মোদীর সভায় অংশ নেয় তার ব্যবস্থা করাই মূল লক্ষ্য ছিল গেরুয়া শিবিরের তরফে। আগামীকাল বিকেল ৪টে ৪৫ থেকে ৫টা ২৫ পর্যন্ত সেই সভায় বক্তব্য রাখার কথা ছিল মোদীর। কিন্তু অন্তিম মুহূর্তে করোনার বাড়বড়ন্তের কথা মাথায় নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নেন প্রধানমন্ত্রী। আগামীকাল বাংলার সব জনসভাই বাতিল করেন তিনি। জানানো হয়, শুক্রবার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসতে চলেছেন মোদী।
প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তের ফলে রাজ্য বিজেপি নেতা এবং কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে হতাশার ছাপ স্পষ্ট দেখা যায়। এরপরই দিলীপ ঘোষের একান্ত অনুরোধে সশরীরে হাজির না হলেও ভার্চুয়ালি রাজ্যের জনসভা গুলোতে বক্তব্য রাখার জন্য প্রস্তুত হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘ওনাকে অনুরোধ করেছিলাম, উনি আমাদের অনুরোধ ফেলতে পারেন নি। উনি জানিয়েছেন যে, রাজ্যের প্রতিটি সভা তিনি একসঙ্গে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেবেন।” দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘দেশের করোনার পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক রয়েছে বলেই আসতে পারছেন না তিনি। তবে আমার অনুরোধে তিনি বিকেল ৫টায় ভার্চুয়ালি সভায় উপস্থিত থাকার কথা জানিয়েছেন।