বাংলা হান্ট ডেস্ক : ত্রিদেশীয় সফরে রয়েছেন হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। শুক্রবার সকালে দিল্লি থেকে বিশেষ বিমানে প্রথমে জাপানের (Japan) হিরোশিমার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এই সফরকালে তিনি জাপান, পাপুয়া নিউ গিনি (Papua New Guinea) এবং অস্ট্রেলিয়া (Australia) যাবেন। ত্রিদেশীয় সফরের শুরুতে মোদি জাপানের হিরোশিমায় সে দেশের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার আমন্ত্রণে জি-৭ শিখর সম্মেলনে যোগ দেবেন।
জি-৭ সম্মেলনে শান্তি, সুস্থিতি, খাদ্য, সার ও শক্তি নিরাপত্তার বিষয়ে অগ্রগতি নিয়ে সদস্য দেশগুলির সঙ্গে কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী। সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী মোদি, অংশগ্রহণকারী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন।
সফরের দ্বিতীয় পর্যায়ে তিনি পাপুয়া নিউগিনিতে ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জের মধ্যে সহযোগিতা সংক্রান্ত তৃতীয় সম্মেলনে যৌথ সভাপতিত্ব করবেন। শেষ ধাপে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি অ্যালবানিজের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকেও অংশ নেবেন মোদি। হিরোশিমার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার প্রাক্কালে এই সফরকে ঘিরে তিনি যে কতটা উদ্বিগ্ন, তা টুইট করে জানান প্রধানমন্ত্রী মোদি।
জাপানে জি-৭ সামিটে যোগ দেওয়ার পর, সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদি পাপুয়া নিউগিনির পোর্ট মোরেসবিতে যাবেন। এটি পাপুয়া নিউগিনিতে প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রথম সফর। একইসঙ্গে ভারতের কোনও প্রধানমন্ত্রী এই প্রথম দ্বীপরাষ্ট্র পাপুয়া নিউগিনির সফরে যাচ্ছেন। এখানেই বিশেষ সম্মান নরেন্দ্র মোদি। জানা যাচ্ছে, পাপুয়া নিউগিনির প্রাচীন প্রথা হল সূর্যাস্তের পর কোনও অতিথিকে স্বাগত জানানো হয় না। কিন্তু শুধুমাত্র মোদির জন্য এই প্রথা ভাঙতে চলেছে সে দেশ। নমোর আগমনে পাপুয়া নিউগিনির প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং বিমানবন্দরে উপস্থিত থাকবেন বলে জানা যাচ্ছে।
সেখানে আগামী ২২ মে প্রধানমন্ত্রী মোদী ফোরাম ফর ইন্ডিয়া-প্যাসিফিক আইল্যান্ডস কো-অপারেশন সামিটে যোগ দেবেন। পাপুয়া নিউগিনির প্রধানমন্ত্রী জেমস মারাপের সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন তিনি। এই সামিটে জলবায়ু পরিবর্তন, উন্নয়ন, ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণ, স্বাস্থ্য, পরিকাঠামো ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করা হবে বলেই জানান প্রধানমন্ত্রী মোদি।