বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আদালত এবং ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালের (এনজিটি) সিদ্ধান্তের কারণে অবকাঠামো প্রকল্পে বিলম্বের বিষয়ে তথ্য জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব রাজেশ গৌবাকে। গত ২৫ শে আগস্ট ডাকা এক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদী, স্থগিত প্রকল্পগুলির একটি তালিকা তৈরি করতে, কোষাগারে আনুমানিক ক্ষতির বিবরণ প্রস্তুত করার নির্দেশ দেন।
এই কাজ শেষ হওয়ার পর সরকার কী পদক্ষেপ নেবে, তা জানা না গেলেও এবিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে চারটি মন্ত্রণালয়কে নিবিড়ভাবে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে সূত্রের খবর, সমস্ত বাঁধা দূর করতে, সরকার আইনি পদক্ষেপও নিতে পারে।
এই বৈঠকের মূল বিষয় ছিল, আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ের সাথে পরামর্শ করে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন, রেলপথ এবং সড়ক পরিবহন এবং মহাসড়ক মন্ত্রণালয়, ভূমি অধিগ্রহণ, বন বা অন্যান্য সম্পর্কিত বিষয়ে, মাননীয় আদালত, NGT ইত্যাদি বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের তদারকি করা উচিৎ।
বৈঠকে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে এক সপ্তাহের মধ্যে এই তালিকা প্রস্তুত করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু সেই সময়ের কিছুটা দেরী হয়ে যায়। জানা যায়, মর্যাদাপূর্ণ ওয়েস্টার্ন ডেডিকেটেড মালবাহী করিডর প্রকল্পে বিলম্বের কারণে, সেদিনের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী কিছুটা বিরক্ত হয়ে পড়েন। এই কাজের জন্য মহারাষ্ট্র এবং গুজরাট সরকারের জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
এইদিনের বৈঠকে ১৫ ই সেপ্টেম্বর ২০২১ এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক মন্ত্রণালয়কে দিল্লীর নগর সম্প্রসারণ রুটের কাজ শুরু করতে বলা হয়েছিল এবং এই কাজ ১৫ ই আগস্ট ২০২৩-এর মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।