বাংলাহান্ট ডেস্ক : উচ্চারণ বিভ্রাটের জেরে আবারও বিড়ম্বনায় প্রধানমন্ত্রী। বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও প্রকল্প হয়ে দাঁড়ালো ‘বেটি পটাও’। আর সেই ভুল উচ্চারণকে নিয়ে রীতিমতো হাসির রোল নেটপাড়ায়। বাদ পড়ল না কটাক্ষ এবং মিমও।
সম্প্রতি ব্রহ্ম কুমারী আয়োজিত ‘আজাদি কি অমৃত মহোৎসব সে স্বর্ণিম ভারত কি ওউর’ প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দিচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানেই বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও প্রকল্প সম্পর্কে বলতে গিয়ে উচ্চারণ বিভ্রাটে তা হয়ে দাঁড়ায় ‘বেটি বাঁচাও বেটি পটাও’। এরপই রীতিমতো হাসাহাসির ধুম লেগে যায় ইন্টারনেট জুড়ে। বানানো হয় একাধিক মিমও। বিষয়টি এতটাই ছড়িয়ে পড়ে যে ট্যুইটারে ট্রেন্ডিং ও হতে থাকে এটি। মন্তব্যের বন্যায় ভেসে যেতে থাকে স্যোশাল মিডিয়া। এই ঘটনায় অবশ্য বাদ যায়নি কটাক্ষও।
???? pic.twitter.com/zCp0qAMYnl
— Rofl Gandhi 2.0 🚜🏹 (@RoflGandhi_) January 20, 2022
এক ব্যক্তি এই পরিপ্রেক্ষিতে রাহুল গান্ধীর একটি ছবি দিয়ে লেখেন, ‘আমার জন্যও একটি মেয়ে পটিয়ে দিন’। অপর আরেকজন লেখেন, ‘বেটি বচাও, বেটি পটাও এখন বিজেপির স্লোগান। অবশ্য দলটির থেকে এর বেশি কিছু আশাও করা যায় না।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ টেনে এক ব্যক্তি মন্তব্য করেন, ‘যিনি মঞ্চ থেকে দিদি ও দিদি বলে এক মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করতে পারেন, তিনি তাঁর দলের বাকিদের যে এহেন পরামর্শই দেবেন তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই’। একই সঙ্গে চলতে থাকে মিমের বন্যাও। একটি বলিউড ছবির ঘনিষ্ঠ ছবি শেয়ার করে একজন লেখেন, ‘ বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও প্রকল্পের নতুন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর’। টেলিপ্রম্পটার দেখে ভাষণ দেওয়া নিয়েও কটাক্ষ করেছেন কেউ কেউ। এই ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী বা বিজেপির কারও কাছ থেকেই কোনো রকম প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি।
I request all Chamchas plz iske liye bhi kisi ki Beti Patao.. so that he may be married…#BetiBachaoBetiPatao #BetiPatao pic.twitter.com/BKuYuC0ZOT
— Gagan deep (@KingOfPunjabG) January 20, 2022
প্রসঙ্গত, বাংলায় একুশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারের সময়ও উচ্চারণ বিভ্রাটের জেরে একাধিক বার বিতর্কে জড়িয়েছেন মোদী। কখনও ভুল উচ্চারণে কবিতা পাঠ, কখনও আবার ‘পদ্মে ছাপ’ এর বদলে অশ্লীল শব্দ বিড়ম্বনায় ফেলেছে প্রধানমন্ত্রীকে। তবে সেসবে খুব একটা গা দেননি তিনি। এদিনের এই অনুষ্ঠানের শুরুতে গড়বড় হলেও বাকিটুকু বেশ দক্ষতার সঙ্গেই সামলে নেন নরেন্দ্র মোদী।