বাংলাহান্ট ডেস্ক: একাধিক দুর্নীতিতে জড়িয়ে তৃণমূল (Trinamool Congress) কি মানুষের ভরসা হারাচ্ছে? আর কি আগের মতো ‘হাওয়া’ দেখা যাচ্ছে না শাসক দলের? এই প্রশ্নই এখন উঠছে রাজনীতির অন্দরে। গোটা রাজ্য জুড়ে যেখানে এই প্রশ্ন উঠছে, তখনই জেলা সভাপতি হিসেবে প্রথম বৈঠক করলেন নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। দায়িত্ব নেওয়ার ৫ দিনের মাথায় দলের প্রথম সাংগঠনিক সভা করলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি এবং পান্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী।
তৃণমূলের হাওয়াকে ঝড়ে পরিণত করার লক্ষ্য নিয়ে রবিবার আসানসোলের জিটি রোডের রাহালেন মোড় সংলগ্ন তৃণমূলের জেলা কার্যালয়ে এই বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন নরেন্দ্রনাথ বাবু। তিনি বলেন, “জেলার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে আমার প্রথম কাজ হবে মতের অমিলটা যেন মনের অমিল না হয় সেটা দেখা।” একইসঙ্গে দলীয় কর্মীদের প্রতি তিনি বার্তা দে, সবাইকে এক হয়ে চলতে হবে। কোন ভেদাভেদ যেন না থাকে।
সাংবাদিক বৈঠকে তিনি আরও বলেন, “যেই পুরোনো নেতা ও কর্মী বসে গিয়েছেন, তাঁদেরকে ফিরিয়ে আনতে হবে। তাঁদের অভিজ্ঞতা দলের কাজে লাগাতে হবে। যে কারণে অনেককে নতুন জেলা কমিটিতে আনা হয়েছে।” উল্লেখ্য, ইদানিং বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের মধ্যে একটা অভিযোগ উঠেছে যে, একটা শাখা সংগঠন অন্য শাখা সংগঠনের কাজে বাধা দিচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে এদিনের বৈঠক থেকে জেলা সভাপতি সকলকে সতর্ক করে দেন। হুঁশিয়ারীর সুরে তিনি বলেন, “যাঁর যেমন দায়িত্ব আছে, তা সঠিক ভাবে পালন করতে হবে। সবাইকে অনেক বেশি দায়িত্ববান হতে হবে। কেউ কারোর কাজে বাধা দেবে না।” নরেন্দ্রনাথ বাবু আরও বলেন, “জেলা সভাপতির দায়িত্ব আমার কাছে গুরু দায়িত্ব। আমার লক্ষ্য থাকবে, রাজ্য জুড়ে যে তৃণমূল কংগ্রেসের হাওয়া বইছে, তাকে ঝড়ে পরিণত করা।”
তিনি জানান, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলাগুলিতে ভাল ফল করবে তৃণমূল। বিরোধীদের উদ্দেশ্যে তাঁর বক্তব্য, “পঞ্চায়েত নির্বাচনে আপনারা নমিনেশন দিন। কোথাও কোন সমস্যা হবে না। নির্বাচনে লড়াই করে জেতার আলাদা একটা মজা আছে।” এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী মলয় ঘটক এবং প্রদীপ মজুমদার। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দলের সব শাখা সংগঠনের জেলা সভাপতি, জেলা সদস্য ও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা। ডাকা হয়েছিলো বিধায়কদেরও।