বাংলাহান্ট ডেস্ক: লকডাউনের (lockdown) জেরে মার্চের তৃতীয় সপ্তাহ থেকেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সমস্ত স্কুল, কলেজ। এই অবস্থায় পড়ুয়াদের পড়াশোনায় যাতে বাধা না পড়ে সেজন্য অনলাইন (online) ক্লাসের ব্যবস্থা করেছে সব স্কুল, কলেজ। বাড়িতে বসেই যাতে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া যায় সেই জন্যই এই বন্দোবস্ত।
কিন্তু নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন (Narendrapur ramkrishna mission) হেঁটেছে অন্য পথে। অনলাইন ক্লাস নয়, বরং ক্লাসরুমটাকেই বাড়ির মধ্যে এনে দিয়েছেন মিশন কর্তৃপক্ষ। শিক্ষকদের পড়ানোর ভিডিও প্রত্যেক ছাত্রের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে অনলাইনে।
ঠিক স্কুলে যেমন ভাবে পড়ানো হয় তেমন ভাবেই শিক্ষকরা ক্লাসরুমে বসেই প্রতিটি বিষয়ের পড়া ভিডিও রেকর্ডিং করছেন। তারপর তা অনলাইনে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে সব ছাত্রকে। বাংলা ও ইংরেজি দুই মাধ্যমেই পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত এই পদ্ধতিতে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ থেকেই শুরু হয়েছে এই ক্লাস।
কিন্তু অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যখন অনলাইনে ক্লাস করাচ্ছে তখন হঠাৎ এমন ভিন্ন ধর্মী ভাবনার কারন কি? উত্তরে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের প্রধান শিক্ষক ব্রহ্মচারী তুরীয়চৈতন্য বলেন, “রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এমনকি অন্য রাজ্যেও রয়েছে আমাদের ছাত্ররা। তাই সবাইকে অনলাইনে ক্লাস করানো সম্ভব ছিল না। এই পদ্ধতিতে ক্লাস করে যদি কোনও অংশ ছাত্রদের বুঝতে সমস্যা হয় তাহলে তারা ক্লাসের পর শিক্ষকদের থেকে জেনে নিতে পারবে। আশা করছি জুনের ১০ তারিখের মধ্যেই আমরা অর্ধেক সিলেবাস শেষ করতে পারব।”
তবে এই পদ্ধতি শুধুমাত্র পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্তই প্রযোজ্য। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্রদের অনলাইনেই ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যম মিলিয়ে মোট ৯৫০ জন ছাত্র রয়েছে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনে। মিশনের সম্পাদক শিক্ষকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, বেশ কিছুটা সিলেবাস শেষ হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। তবে লকডাউনের পর স্কুল খুললে যদি কোনও বিষয়ে ফের পড়াতে বলে ছাত্ররা তবে তাও করা হবে।