বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র (Narottam Mishra) বৃহস্পতিবার বলেছেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা করে দেশ ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে অপমান করেছেন। তিনি আরও বলেন, ‘মমতা দিদি সিদ্ধি বিনায়ক মন্দিরে যাচ্ছেন, কমলনাথ জি হনুমান চালিসা পাঠ করছেন, কেজরিওয়াল জি তীর্থযাত্রা করছেন, রাহুল জি কাশ্মীরি পণ্ডিত হচ্ছেন, দেশের আর কত ‘আচ্ছে দিন’ দরকার?
নরোত্তম মিশ্র কপিল সিব্বালের সেই স্লোগানকেও একহাতে নিয়েছেন, যেখানে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কংগ্রেসকে ইউপিএ-র আত্মা হিসাবে বর্ণনা করেছিলেন। মিশ্র বলেছেন- ইউপিএ-তে এমন অনেক লোক আছেন যারা ‘ভারত বদনাম, সেনা বদনাম, টিকা বদনাম’ স্লোগান তুলে ঘুরে বেড়ান। টুকরে টুকরে গ্যাংকে সবসময় সমর্থন করেন। না বুয়ার সঙ্গে, না বাবুয়ার সঙ্গে, না মমতা দিদির সঙ্গে, না শরদ পাওয়ারের সঙ্গে রয়েছে। তবুও কপিল সিব্বল কংগ্রেসকে ইউপিএ-র প্রাণ বলছেন। যখন সব দল ছেড়ে চলে যাবে, তখন শরীরহীন এই ‘আত্মা’ এখন প্রেতাত্মা হয়ে ঘুরে বেড়াবে।
বলে দিই, তিনদিনের মুম্বই (Mumbai) সফরে যাওয়া পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে জাতীয় সংগীত (National Anthem) অবমাননার অভিযোগ উঠেছে। বিজেপির (Bharatiya Janata Party) এক নেতা ওনার বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ পর্যন্ত দায়ের করেছেন। অভিযোগ উঠেছে যে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বসে বসে জাতীয় সংগীত গেয়েছেন। এছাড়াও বঙ্গ বিজেপিও এই ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে আক্রমণ করেছে।
মুম্বই বিজেপির এক নেতা মুখ্যমন্ত্রী মমতার বিরুদ্ধে বসে বসে জাতীয় সংগীত গাওয়া আর ৪-৫ ছন্দের পর জাতীয় সংগীত গাওয়া বন্ধ করে জাতীয় সংগীতকে অপমানের অভিযোগ তুলেছেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, বুধবার মুম্বইইয়ে একটি প্রেস কনফারেন্সের সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জাতীয় সংগীত পুরো গেয়েছিলেন না, এমনকি তিনি বসে বসে গেয়েছিলেন। এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল (Viral Video) হওয়ার পর অনেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই কাজের বিরোধিতা করেছেন।
মহারাষ্ট্রের বিজেপি নেতা প্রতীক কারপে ট্যুইট করে লিখেছেন, ‘এটা কী জাতীয় সংগীতের অপমান নয়? যখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বসে বসে জাতীয় সংগীত গাওয়া শুরু করলেন, তখন সেখানে উপস্থিত বুদ্ধিজীবীরা কী করছিলেন।” উনি অভিযোগ করে বলেছেন যে, মমতা ব্যানার্জী জাতীয় সংগীত গাইতে গাইতে বন্ধ করে দেন।