বাংলা হান্ট ডেস্ক: বিশাল এই মহাবিশ্বের প্রতিটি অংশে লুকিয়ে রয়েছে রহস্য। আর সেই রহস্য উন্মোচনের জন্যই বছরের পর বছর ধরে দীর্ঘ গবেষণায় লিপ্ত রয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তবে, এবার একটি চমকপ্রদ তথ্য সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে সম্প্রতি মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা (National Aeronautics and Space Administration, NASA) নতুন পৃথিবী আবিষ্কার করেছে।
প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, এই পৃথিবীটি আমাদের গ্রহ থেকে প্রায় ৩৭ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত রয়েছে। শুধু তাই নয়, এটির ভর আমাদের গ্রহ থেকে প্রায় চারগুণ বেশি। “Ross 508b” নামের এই গ্রহটি M-Type নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করে। ঠিক যেমন সূর্যের চারপাশে ঘোরে আমাদের গ্রহ। সবচেয়ে অবাক করার মত বিষয় হল, নতুন এই পৃথিবীতে প্রায় ১১ দিনেই একটি বছর পূর্ণ হয়ে যায়।
জানিয়ে রাখি যে, M-Type নক্ষত্র সূর্যের চেয়ে লাল এবং ঠান্ডা হয়। পাশাপাশি, সেটি কম আলো নির্গত করে। এই লাল নক্ষত্রগুলিকে আমাদের সৌরজগতের চারপাশে প্রচুর পরিমানে পাওয়া যায়। এমনকি, সেগুলি আমাদের ছায়াপথের তিন-চতুর্থাংশ জুড়েও অবস্থান করছে।
এমতাবস্থায়, জানা গিয়েছে যে, নতুন আবিষ্কৃত এই গ্রহে জলের উপস্থিতিও রয়েছে। যা জীবনের সম্ভাবনা অনুসন্ধানের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রসদ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই প্রসঙ্গে মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে, নাসার এক্সোপ্ল্যানেটারি এনসাইক্লোপিডিয়াতে মোট ৫,০৬৯ টি আবিষ্কারের তালিকা, ৮,৮৮৩ প্রার্থী এবং ৩,৭৯৭ প্ল্যানেটরি সিস্টেমের সূচি প্রস্তুত করা রয়েছে। সেই অনুযায়ী, ২০২০ সালে এই সুপার আর্থ আবিষ্কৃত হয়।
Discovery Alert!
A recently discovered exoplanet skims in and out of its star's habitable zone. It's 37 light-years from Earth and about four times our planet's mass, making Ross 508b a super-Earth. A year there, one orbit, takes just 10.8 days! https://t.co/qmEDhIuS3A pic.twitter.com/MW7Cap45If— NASA Exoplanets (@NASAExoplanets) August 3, 2022
জানা গিয়েছে, ক্যান্টবেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ইতিমধ্যেই এই অনাবিষ্কৃত গ্রহটি দেখেছেন। যা পৃথিবীর সমান আয়তন ও ভর বিশিষ্ট গ্রহগুলোর মধ্যে একটি। পাশাপাশি সেখানে একটি হোস্ট নক্ষত্র রয়েছে, যা সূর্যের ভরের প্রায় ১০ শতাংশ।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সুপার আর্থের ভর পৃথিবী এবং নেপচুন গ্রহের মধ্যেকার পর্যায় রয়েছে। এমতাবস্থায়, এই গবেষণার নেতৃত্বদানকারী লেখক ডঃ হেরেরা মার্টিনের মতে, এই আবিষ্কারটি খুবই বিরল। পৃথিবীর মতোই এই সুপার আর্থের সন্ধানে সুবারু টেলিস্কোপের সাহায্য নেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি ইনফ্রারেড স্পেকট্রোগ্রাফারও ব্যবহার করা হয়।