বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমরা সচরাচর জানি এক বছর হয় ৩৬৫ দিনে। আর লিপিয়ার থাকলে সেটা হয়ে যায় ৩৬৬ দিন। কিন্তু যদি শোনেন কোথাও ২৪ ঘন্টারও কম সময়ে এক বছর হচ্ছে! কি শুনে বিশ্বাস হচ্ছে না তো? তবে এবার নাসা (NASA) এমন এক গ্রহের সন্ধান পেলো যেখানে ৩৬৫ নয়, মাত্র কয়েক ঘন্টায় হয় এক বছর। উত্তপ্ত নেপচুনের মত আরো একটি গ্রহের খোঁজ পেলো এই আন্তর্জাতিক সংস্থা।
নাসা (NASA) সন্ধান পেলো নতুন একটি গ্রহের
জানা গিয়েছে, নাসা যে নতুন গ্রহের সন্ধান পেয়েছে তার নাম হচ্ছে টিওআই-৩২৬১ বি (TOI-3261B), এটি একটি আল্ট্রা হট গ্রহ। বিজ্ঞানীদের মতে এই গ্রহ খুব দ্রুত প্রদিক্ষণ করতে পারে। ফলে এখানে মাত্র ২১ ঘণ্টায় এক বছর হয়। জানা গিয়েছে, আন্তর্জাতিক সংস্থা নাসার (NASA) ট্রান্সিটিং এক্সোপ্ল্যানেট সার্ভে স্যাটেলাইটে ধরা পড়েছে এই গ্রহটি। এখন পর্যন্ত এ ধরনের যতগুলো এক্সোপ্ল্যানেট আবিষ্কৃত হয়েছে তার মধ্যে টিওআই-৩২৬১ বি-এর অবস্থান চতুর্থ। এই রকম আরো তিনটি গ্রহ রয়েছে।
এই গ্রহের বৈশিষ্ট্য: পৃথিবী থেকে ৯৭৯ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত এই টিওআই-৩২৬১ বি (TOI-3261B)। বিজ্ঞানীদের মতে, প্রতি ২১ ঘণ্টায় গ্রহটি নিজের থেকে ২৫ লাখ কিলোমিটার দূরে থাকা এক কমলা রঙের বামন তারাকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে। দ্রুত প্রদিক্ষণ করার ফলে এখানে ২১ ঘন্টায় এক বছর হয়। আকারে এটি আমাদের সৌরজগতের গ্রহ নেপচুনের মতোই সমান। তবে নেপচুনের চেয়ে এটি দ্বিগুণ ঘন এবং পৃথিবীর চেয়ে প্রায় ৩০ গুণ ভারী। শুধু তাই নয় এর তাপমাত্রাও নেপচুনের চেয়ে অনেক গুণ বেশি। তাই এর নাম রাখা হয়েছে আল্ট্রা শর্ট পিরিয়ড হট নেপচুন। এছাড়াও এই গ্রহ বৃহস্পতির মত গ্যাসে ভরা।
আরও পড়ুন: ট্রেনিং শেষ করেও যোগ দেওয়া হল না চাকরিতে! ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় মর্মান্তিক মৃত্যু IPS আধিকারিকের
এখানে কি প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে: বিজ্ঞানীদের মতে, এই ছোট্ট গ্রহ তার চরিত্র পরিবর্তন করে চলেছে। তবে এখানে এখনো পর্যন্ত কোন প্রাণের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। এমনকি এখানকার যা আবহাওয়া তাতে প্রাণ না থাকার মতোই পরিস্থিতি। এছাড়াও জানা গিয়েছে এই গ্রহটি, ৬৫০ কোটি বছরের পুরোনো গ্রহ, আমাদের সৌরজগতের চেয়ে ২০০ কোটি বছর পুরনো।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর ক্রমবর্ধমান অত্যাচারে উদ্বিগ্ন ইস্টবেঙ্গল! নিতে চলেছে বড় পদক্ষেপ
যখন এই গ্রহটি সৃষ্টি হয় তখন এটি বিশাল গ্যাসের পিণ্ড হিসেবে জন্ম নেয়। পরবর্তীতে পরিবর্তন হতে হতে এটি একটি উত্তপ্ত গ্রহ রূপে পরিণত হয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত এই গ্রহের পুঙ্খানুপুঙ্খ জানার জন্য নাসার (NASA) বিজ্ঞানীরা গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন।