বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভারত শুধু অর্থনৈতিক কিংবা সামরিক খাতেই নয় আবিষ্কারের দিক থেকেও এগিয়ে চলছে। বিভিন্ন রকমের আবিষ্কার সামনে এনে তাক লাগিয়েছে গোটা বিশ্ববাসীকে। তবে এবার বছর ১৪-র এক কিশোর অভাবনীয় আবিষ্কার করে চমকে দিয়েছে NASA-কে। এত অল্প বয়সে এমন আবিষ্কারের জন্য তার কাঁধে তুলে দেওয়া হয়েছে বিশেষ দায়িত্ব।
বছর ১৪-র কিশোর আবিষ্কার দেখে অবাক NASA:
জানা গিয়েছে, বছর ১৪-র ওই কিশোর নবম শ্রেণীর পড়ুয়া। উত্তরপ্রদেশের নয়ডার বাসিন্দা এই কিশোর। সেখানকার শিব নাদর স্কুলের ছাত্র দক্ষ মালিক। এত অল্প বয়সেই আবিষ্কার করেছে নতুন গ্রহাণু। দক্ষ মালিকের এই আবিষ্কার দেখে প্রশংসা করছেন সকলেই। এমনকি NASA-ও দক্ষর এই কীর্তিতে বিশেষ সম্মান প্রদান করেছে।
ঠিক কি আবিষ্কার করেছে দক্ষ: জানা যায়, দক্ষর স্কুলে একটি পর্যবেক্ষণ অনুষ্ঠান হয়েছিল। সেখানে নিয়ে আসা হয় একটি শক্তিশালী দূরবীন। আর এই সময়টিকে কাজে লাগায় যুবক। সেই দূরবীনের মাধ্যমে প্রথম এই নতুন গ্রহাণুকে দেখতে পায় দক্ষ। এরপর NASA-র সঙ্গে যোগাযোগ করলে দক্ষর নতুন গ্রহাণু দেখতে চায়। আর সেই নতুন গ্রহাণুকে সংস্থার সামনে নিয়ে আসে দক্ষ।
আরও পড়ুন: ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে আদৌ খেলবেন জসপ্রীত বুমরাহ? সামনে এল বড় আপডেট
দক্ষর কথার উপর ভিত্তি করে NASA সেই নতুন গ্রহাণুকে দেখে। আর এত অল্প বয়সে এমন গ্রহাণু আবিষ্কারের জন্য দক্ষকে সার্টিফিকেট প্রদান করে এই গবেষণা সংস্থা। শুধু তাই নয় এই নতুন গ্রহাণুর নামও তাকেই দিতে বলা হয়েছে। আর তার কাঁধে যে এত বড় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেকথা শোনার পর থেকেই খুশি দক্ষ মালিক। যদিও বর্তমানে এই গ্রহাণুর নাম দেওয়া হয়েছে ২০২৩০জি৪০। তবে খুব শীঘ্রই নতুন নাম দেবে এই কিশোর।
ছেলেবেলা থেকেই মহাকাশের প্রতি টান: এই বিষয়ে দক্ষ জানিয়েছে, ছেলেবেলা থেকেই মহাকাশের নানা বিষয় পড়াশোনা করতে ভালো লাগে তার। সেখান থেকেই মহাকাশ নিয়ে জানার আগ্রহ ক্রমশ বাড়তে থাকে। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক দেখে সে মহাকাশ এবং প্রাণ সম্পর্কে আরও জ্ঞান অর্জন করে। এরপরই এই নতুন গ্রহাণু তার নজরে আসে। দক্ষ আরও জানিয়েছে, সে ভবিষ্যতে NASA-র সঙ্গে কাজ করতে চায়। শুধু এই একটি গ্রহাণু নয়, মহাকাশে আরও এমন গ্রহাণু আবিষ্কার করতে চায়।
আরও পড়ুন: সরাসরি রাজ্যকে আর টাকা দেবে না কেন্দ্র! সরকারি প্রকল্পের জন্য এবার চালু হচ্ছে নতুন ব্যবস্থা
পাশাপাশি NASA-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “দক্ষ যদি ভবিষ্যতে মহাকাশ নিয়ে পড়াশোনা করতে চায়, তাহলে তাকে সার্বিকভাবে সহায়তা করা হবে।” এত অল্প বয়সে মহাকাশের প্রতি আগ্রহ ও ভালোবাসা দেখে খুশি হয়েছে NASA-র মহাকাশ বিজ্ঞানীরাও।