বাংলা হান্ট ডেস্ক: বছরের পর বছর ধরে বিজ্ঞানীরা অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে মঙ্গল গ্রহ সম্পর্কিত বিভিন্ন গবেষণা করেছেন। যেগুলির মাধ্যমে প্রায়শই একাধিক চাঞ্চল্যকর আপডেট সামনে আসে। তবে,মহাকাশ বিজ্ঞানীরা চলতি বছরের শুরুতেই দুঃসংবাদ পেয়েছিলেন। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি নাগাদ জানা গিয়েছিল যে, মঙ্গল গ্রহে উড়ানের সময়ে NASA (National Aeronautics and Space Administration)-র Ingenuity হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনার মুখোমুখি হয়। এটি ছিল Ingenuity-র ৭২ তম ফ্লাইট।
NASA-র Ingenuity হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়:
ওই দুর্ঘটনায় হেলিকপ্টারের রোটারগুলি খারাপভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল এবং বিজ্ঞানীরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছিলেন যে Ingenuity আর কখনও উড়তে সক্ষম হবে না। এর পাশাপাশি এটাও মনে করা হয়েছিল, সে তার পার্সিভারেন্স রোভারের সাথে যোগাযোগ করতে সক্ষম হবেন না। তবে, এখন NASA-র জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরি (JPL) Ingenuity সম্পর্কিত একটি বড় আপডেট সামনে এনেছে। যেটি থেকে এটা বলাই যায় যে মঙ্গলে “মারা যাওয়ার” পর আবারও “জীবিত” হয়ে উঠেছে Ingenuity হেলিকপ্টার।
হ্যাঁ, প্রথমে বিষয়টি জেনে অবাক হয়ে গেলেও এটা কিন্তু একদমই সত্যি। এই প্রসঙ্গে NASA JPL-এর Ingenuity Mission ম্যানেজাররা বলছেন যে হেলিকপ্টারটি লাল গ্রহে দ্বিতীয় জীবন পেতে পারে। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, হেলিকপ্টারের ব্যাটারি সেন্সর কাজ করছে এবং এই হেলিকপ্টারটি এখন এক ধরণের ওয়েদার স্টেশন হিসেবে কাজ করবে। যেটি টেলিমেট্রি রেকর্ড করবে ও প্রত্যেকে সোলের ছবি তুলবে এবং বোর্ডে সংরক্ষণ করবে।
আরও পড়ুন: ফাইনাল ম্যাচে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ! বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েও বিতর্কের সম্মুখীন গুকেশ, উঠল তদন্তের দাবি
জানিয়ে রাখি যে, NASA JPL বেশ কয়েক মাস যাবৎ Ingenuity হেলিকপ্টারের দুর্ঘটনার তদন্ত করছে। জানা গেছে যে মঙ্গল গ্রহের পৃষ্ঠের গঠন এমন যে হেলিকপ্টারের নেভিগেশন সিস্টেম এটি সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য জানতনা। NASA তার তদন্ত শেষ করেছে। তবে, এই তদন্তের কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছনো যায়নি। কারণ এই দুর্ঘটনাস্থলটি মঙ্গলের অনেক দূরের সাইটে ঘটেছে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার স্থানটি পৃথিবী থেকে ১৬ কোটি কিলোমিটার দূরে রয়েছে। সেখানে কোনও ব্ল্যাক বক্স নেই। তাই, কোনও প্রত্যক্ষদর্শীও নেই।
আরও পড়ুন: ইতিহাস তৈরির পথে ISRO! সফল হল CE-20 ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিনের পরীক্ষা, গগনযান মিশনে হবে ব্যবহার
যখন Ingenuity হেলিকপ্টারটি মঙ্গলে উড়েছিল, তখন সেটি পারসিভারেন্স রোভারের সাথে যোগাযোগ করত। জরুরি অবতরণের পরে বিজ্ঞানীরা যে ছবিটি পেয়েছেন তাতেই দেখা গেছে যে Ingenuity-র চারটি ব্লেডই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। আসলে মঙ্গল গ্রহে উড়ানের লক্ষ্যে সীমিত সময়ের জন্য Ingenuity হেলিকপ্টার পাঠিয়েছিল NASA। ওই হেলিকপ্টার ইতিমধ্যেই তার লক্ষ্য অর্জন করেছে।