বাংলাহান্ট ডেস্কঃ নাসা (NASA) বা ন্যাশনাল অ্যারোনটিকস অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, গবেষণার দিক থেকে আমেরিকার এই সংস্থাকে বহুদিন থেকেই সুপ্রতিষ্ঠিত। কিন্তু এবার তাদের দিকেই অভিযোগের আঙ্গুল তুলল পশুপ্রেমী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। একইদিনে একসঙ্গে ২৭ টি বাঁদরকে (Monkey) হত্যা করার বিষয়ে গোটা বিশ্ব জুড়ে শোরগোল পড়ে গেছে।
নাসা থেকে বিভিন্ন সময় গবেষণার কাজে পশুপাখিদের ব্যবহার করা হয়েছে। এমনকি মহাকাশযানেও মানুষ না পাঠিয়ে একটি কুকুরকে পাঠানো হয়েছিল। এমনকি ১৯৪৮ সালের ১১ ই জুন বাঁদরও পাঠানো হয়েছিল মহাকাশে। কিন্তু বর্তমানে জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালের ২ রা ফেব্রুয়ারি, ক্যালিফোর্নিয়ার সিলিকন ভ্যালির এমস রিসার্চ সেন্টারে পরিকল্পিতভাবে ওষুধ দিয়ে একইদিনে ২৭ টি বাঁদরকে হত্যা করা হয়েছে নাসার পক্ষ থেকে।
হঠাৎ কেন এমন সিদ্ধান্ত নিল নাসা কর্তৃপক্ষ? তাদের এই কর্মকান্ডে ক্ষেপে উঠেছে পশুপ্রেমী থেকে শুরু করে সাধারন মানুষেরাও। নাসার কাছে তাদের একটাই প্রশ্ন, কেন পরীক্ষার পর এই অবলা প্রাণীদের হত্যা করা হল? জানা গিয়েছে, বাঁদরগুলো পারকিনসন রোগে আক্রান্ত হয়েছিল এবং বাঁদরগুলোর বয়স হয়েছিল ২১ বছর।
এই নিরীহ বাঁদরগুলোর হত্যার প্রসঙ্গে উত্তাল হয়ে উঠেছে আমেরিকার সংসদ। বাঁদর হত্যার কারণে জানতে চেয়ে চিঠিও পাঠানো হয়েছে নাসার প্রধানের কাছে। এবিষয়ে লাইফসোর্স বায়োমেডিকেল-এর পক্ষ থেকে স্টিফানি সোলিস জানিয়েছেন, বাঁদরগুলোর অসুস্থতা এবং তাদের বয়সের কথা চিন্তা করেই নাসা এমন সিদ্ধান্ত নিয়ছে। এখানে কোন অমানবিক আচরণ করা হয়নি। বরং মানবিকতার সঙ্গেই আগামী দিনে ওই বাঁদরগুলোর আরও খারাপ হয়ে পড়া শারীরিক অবস্থার কথা চিন্তা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নাসার পরীক্ষাগারে এদের রেখে দেওয়া হলেও, তাদের উপর কোনরকম পরীক্ষা করা হয়নি নাসার পক্ষ থেকে।