বাংলা হান্ট ডেস্ক: বিজ্ঞানী মহলে এটা অনুমান করা হয় যে, সমগ্র মহাবিশ্বে পৃথিবীর মতো একাধিক বাসযোগ্য গ্রহ থাকতে পারে। যেখানে বসবাস করতে পারে আমাদের মতো মানুষ। কিন্তু, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে চলা গবেষণার পরেও পৃথিবীর মতো বাসযোগ্য গ্রহ আবিষ্কার করতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। যদিও, এবার একটি বড় আপডেট সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছে মার্কিন গবেষণা মহাকাশ সংস্থা NASA (National Aeronautics and Space Administration)। উল্লেখ্য যে, NASA-র বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি এমন একটি গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন যেটি পৃথিবীর মতো বাসযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। NASA-র টেলিস্কোপ জেমস ওয়েব মহাবিশ্ব থেকে ওই গ্রহটিকে ক্যাপচার করেছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন যে এটি আকারে পৃথিবীর চেয়ে বড় এবং আমাদের সৌরজগতের বাইরে এখনও পর্যন্ত পাওয়া ৫,০০০ টি গ্রহের মধ্যে এটিই প্রথম, যেখানে প্রাণ থাকতে পারে।
NASA-র বিজ্ঞানীদের বিরাট কারনামা:
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, NASA-র সবচেয়ে শক্তিশালী টেলিস্কোপ জেমস ওয়েব অসীম মহাকাশ থেকে অবিশ্বাস্য কিছু আবিষ্কার করেছে। মূলত, বিজ্ঞানীরা আমাদের সৌরজগতের বাইরে একটি গ্রহ আবিষ্কার করেছেন যার সাথে পৃথিবীর অনেক মিল রয়েছে। বিজ্ঞানীদের মতে, এই গ্রহে একটি সম্ভাব্য জীবন ধারণকারী তরল সমুদ্র রয়েছে।
NASA-র বিজ্ঞানীরা বলেছেন যে, সৌরজগতের বাইরে এখনও পর্যন্ত ৫,০০০ টিরও বেশি গ্রহ আবিষ্কৃত হয়েছে। তবে তাদের মধ্যে মাত্র কয়েকটি “গোল্ডিলক্স জোনে” রয়েছে। যা খুব গরম বা খুব ঠান্ডা নয়। শুধু তাই নয়, সেখানে জল তরল অবস্থায় থাকতে পারে। মানে সেখানে প্রাণের অপার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: মন থেকে ডাকলেই মা করেন ইচ্ছেপূরণ! কলকাতার “জীবন্ত কালী” শ্যামসুন্দরী খালি হাতে ফেরান না কাউকেই
মহাবিশ্বে আবিষ্কৃত “সুপার আর্থ”: NASA-র বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যে, “আমাদের সৌরজগতের বাইরে পাওয়া এই গ্রহটি ২০১৭ সালে প্রথম শনাক্ত করা হয়েছিল। এর নাম LHS 1140 B। যেটিকে সুপার আর্থও বলা যেতে পারে।” এখানে জীবনের এমন সম্ভাবনা রয়েছে, যা পৃথিবীতেও রয়েছে। এটি ২০১৭ সালে প্রথম আবিষ্কৃত হওয়ার পর থেকে গ্রহটিকে ভালোভাবে পরীক্ষা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফের পকেটে পড়বে টান! লাফিয়ে বাড়ল সোনার দাম, সামনে এল কারণ, মাথায় হাত ক্রেতাদের
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এটি পৃথিবী থেকে ৪৮ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। যা প্রায় ৪৫০ ট্রিলিয়ন কিলোমিটারের সমান। অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল লেটার্সে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, এটি পৃথিবীর চেয়ে ১.৭ গুণ বড় এবং এর ভর পৃথিবীর তুলনায় ৫.৬ গুণ। ওয়েব টেলিস্কোপের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করার পর, NASA-র বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত করেছেন যে এই এক্সোপ্ল্যানেটটি মূলত একটি “সুপার আর্থ”।