বাংলাহান্ট ডেস্ক : অতীতে একাধিকবার ঘটেছে পৃথিবীর দিকে গ্রহাণু ধেয়ে আসার ঘটনা। তবে সেইসব গ্রহাণু পৃথিবীর কাছে আসার আগেই ধ্বংস হয়ে গিয়েছে নয়ত দিক পরিবর্তন করে নিয়েছে। তবে এবার নাসার (NASA) (National Aeronautics and Space Administration) পক্ষ থেকে গ্রহাণুর ধেয়ে আসা নিয়ে শোনানো হল অশনি সংকেত।
গ্রহাণু (Asteroid) সংক্রান্ত বড় আপডেট নাসার (NASA)
নাসা (NASA) জানিয়েছে, এবার যে গ্রহাণুটি পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে সেটি নিজে থেকেই আকার বৃদ্ধি করছে ক্রমশ। যখন এটি পৃথিবীর খুব কাছে চলে আসবে তখন তার আকার অনেকটাই বড় হয়ে যাবে। এখনো পর্যন্ত পৃথিবীকে এই গ্রহাণুর ধাক্কা দেওয়ার সম্ভাবনা এক শতাংশ। তবে যেভাবে গ্রহাণুর আকার বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে সেই সম্ভাবনা ২ থেকে ৩ শতাংশ হয়ে যেতে পারে।
আরোও পড়ুন : কেন্দ্রকে গোল! এই প্রকল্পে রাজ্য নিজে বরাদ্দ করল এক হাজার কোটি টাকা, সুবিধা পাবেন আমজনতা
সেই সম্ভাবনা যদি সত্যি হয় তাহলে পৃথিবীর (Earth) সাথে গ্রহাণুর সংঘর্ষের ঘটনা এড়ানো বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। নাসা জানিয়েছে, বর্তমানে এই গ্রহাণুটির আকার ২০০ মিটার। তবে গ্রহাণুটি (Asteroid) আরো বড় আকারে পৃথিবীর কাছে এলে এটির শক্তি বৃদ্ধি পাবে আরো কিছুটা।
আরোও পড়ুন : ফের সেই RG Kar! হাসপাতালে চরম হয়রানি রোগীদের, হঠাৎ কি হল?
নাসার বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, এই গ্রহাণু যদি পৃথিবীকে ধাক্কা মারে তাহলে সেটি শক্তিশালী হবে ৫০০ টি অ্যাটম বোমার মতো। এই সংঘর্ষের ঘটনার ফলে সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান। নাসার ধারণা, এই গ্রহাণুটির আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে প্রশান্ত মহাসাগর, দক্ষিণ সাগর, আরব সাগরের কাছে।
এই অঞ্চলে গ্রহাণুটি আছড়ে পড়লে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, সুদান, নাইজেরিয়া, ভেনেজুয়েলা, কলম্বিয়া, ইকুয়েডরের মতো দেশগুলি। বিজ্ঞানীরা এই গ্রহাণুটিকে প্রথম দেখতে পান ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে। তবে এই গ্রহাণুটি কবে পৃথিবীকে আঘাত করবে সেই বিষয়ে নিশ্চিত নন বিজ্ঞানীরা (Scientist)।
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, গ্রহাণুটির গতিবেগ যথেষ্ট বেশি। তাই আর বেশি দেরি নেই পৃথিবীর কাছাকাছি আসার। ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, এই ধরনের একাধিক গ্রহাণু অতীতে বহুবার ধেয়ে এসেছে পৃথিবীর দিকে। তবে মাঝ পথেই তারা দিক পরিবর্তন করে নিয়েছে। এই গ্রহাণুটির ক্ষেত্রে কী হয় এখন সেই দিকেই তাকিয়ে বিশ্ববাসী।