বাংলা হান্ট ডেস্ক: এমন অনেক মহাকাশ মিশন রয়েছে যেগুলি স্পেস এজেন্সিগুলির কাছে বিশেষ গুরুত্ব অর্জন করে। ঠিক সেইরকমই এক মিশন হল NASA-র NEOWISE মিশন। যেটি ১৪ বছরেরও বেশি সময় ধরে মহাকাশে তার কাজ করে গিয়েছিল। তবে, এই মিশন এবার শেষ হচ্ছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, NEOWISE এর অর্থ হল নিয়ার-আর্থ অবজেক্ট ওয়াইড-ফিল্ড ইনফ্রারেড সার্ভে এক্সপ্লোরার। ২০০৯ সালে লঞ্চ হওয়া মিশনটির কাজ ৩১ জুলাই শেষ হয়েছে। এত বছর ধরে, NEOWISE টেলিস্কোপ পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে ছিল। যেটি সৌরজগতে ৪৪ হাজারেরও বেশি বস্তু শনাক্ত করেছে। এই টেলিস্কোপটি পৃথিবীর কাছাকাছি ৩,০০০ টিরও বেশি নিয়ে আর্থ অবজেক্টের মতো গ্রহাণুকে সার্ভে করেছে এবং তাদের মধ্যে ২১৫ টি আবিষ্কার করেছে।
শেষ হচ্ছে NASA-র এই মিশন:
এদিকে, NEOWISE-এর বিকল্প হিসেবে, NASA NEO সার্ভেয়ার অর্থাৎ নিয়ার আর্থ অবজেক্ট সার্ভেয়ার টেলিস্কোপ লঞ্চ করার পরিকল্পনা করেছে। যেটি ২০২৭ সালের মধ্যে মহাকাশে পাঠানোর কথা। এই টেলিস্কোপ পৃথিবীর কাছাকাছি আসা সেই বস্তুগুলিকেও শনাক্ত করবে, যা আমাদের গ্রহের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে।
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে গ্রহাণু, উল্কা ইত্যাদি শনাক্ত করার জন্য সারা বিশ্বে টেলিস্কোপ স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও, অনেক টেলিস্কোপ মহাকাশে থেকে একই কাজ করে। গত ১৪ বছর ধরে, NEOWISE মিশন আমাদের গ্রহকে বাহ্যিক বিপদ থেকে রক্ষা করার জন্য নিযুক্ত রয়েছে। প্রাথমিকভাবে এই মিশনটি অল্প সময়ের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছিল। কিন্তু মহাকাশে পৌঁছনোর পর এটি সঠিকভাবে ফলাফল দেয় এবং NASA-র বিজ্ঞানীরা এটি ব্যবহার করতে থাকেন।
আরও পড়ুন: বিগ ব্রেকিং! বাংলাদেশে ভয়াবহ আন্দোলনের আবহে পদত্যাগ শেখ হাসিনার, ভারতের উদ্দেশ্যে দিলেন রওনা
রিপোর্টে বলা হয়েছে, NASA পৃথিবীর কাছে লুকিয়ে থাকা বস্তু শনাক্ত করতে একটি নতুন প্রযুক্তি তৈরি করেছে। NEOWISE থেকে প্রাপ্ত তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এই টেলিস্কোপটিকে “অবসর” দিয়ে, NASA নতুন টেলিস্কোপ দিয়ে মহাকাশ অনুসন্ধান শুরু করবে। এছাড়া NEOWISE সোলার ম্যাক্সিমামে অর্থাৎ সূর্যে যে গতিতে ক্রিয়াকলাপ বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে খুব বেশি কার্যকরী প্রমাণিত হচ্ছে না। ফলে NASA-র নতুন টেলিস্কোপ দরকার।
আরও পড়ুন: রক্তাক্ত শেয়ার বাজার! ৪ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় পতন, উধাও বিনিয়োগকারীদের ১৬ লক্ষ কোটি টাকা
রিপোর্ট অনুযায়ী, ৩১ জুলাই, NEOWISE টেলিস্কোপের মহাকাশযানটি হাইবারনেশন মোডে চলে গেছে। তারপর এটি ধীরে ধীরে পৃথিবীর দিকে আসতে শুরু করবে এবং এই বছরের শেষ নাগাদ বা ২০২৫ সালের শুরুতে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের পর এটি পুড়ে যাবে।