বাংলাহান্ট ডেস্ক: নাসিরউদ্দিন শাহের (Naseeruddin Shah) নামের সঙ্গে যতই বিতর্ক জড়িয়ে থাকুক না কেন, একথা স্বীকার করতেই হবে যে তিনি বলিউডের অন্যতম অভিজ্ঞ এবং প্রতিভাবান একজন অভিনেতা যিনি ইন্ডাস্ট্রির সম্পদও বটে। বহু ছবিই রয়েছে তাঁর ঝুলিতে, যেগুলোর ধরণ ধারণ চিত্রনাট্য আলাদা। প্রতিটি চরিত্রেই অদ্ভূত ভাবে নিজেকে খাপ খাইয়ে নেওয়ার ক্ষমতা রাখেন নাসিরউদ্দিন।
তাঁর অভিনয় কেরিয়ারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ছবি ‘আ ওয়েডনেসডে’। ছবিটি দর্শক মহলে জনপ্রিয় হওয়ার পাশাপাশি ফিল্ম সমালোচকদেরও প্রশংসা কুড়িয়েছিল। ছবিতে দুই মুখ্য চরিত্রে ছিলেন নাসিরউদ্দিন এবং অনুপম খের। এক সাধারণ মানুষের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন নাসির যে পুলিশে ফোন করে জানাবে যে মুম্বইয়ের বিভিন্ন জায়গায় বোমা রাখা রয়েছে যেগুলো সে নিজেই রেখেছে।
শেষের টুইস্টটা ছবিটিকে অন্য মাত্রা দিয়েছিল। কিন্তু এই ছবির চিত্রনাট্যে একটি বিষয়ের জন্য পরিচালক নীরজ পাণ্ডের সঙ্গে নাকি ঝামেলা হয়ে গিয়েছিল নাসিরউদ্দিনের। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ছবিতে চার সন্ত্রাসবাদীকেই মুসলিম দেখানো হয়েছিল। এই বিষয়টা নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছিলেন অভিনেতা।
তিনি বলেন, ছবিতে একটি পরোক্ষ বার্তা ছিল যে সন্ত্রাসবাদের কোনো ধর্ম, সম্প্রদায় হয় না। তবুও ছবিতে চার সন্ত্রাসবাদীকেই মুসলিম দেখানো হয়েছিল। একজনও নকশালবাদী নয়, মাওবাদী নয়, তামিল নয়। চারজনেই মুসলিম। নাসির জানান, তিনি পরিচালককেও একথা জিজ্ঞাসাও করেছিলেন, বিষয়টা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কিনা? কিন্তু নীরজ উত্তর দিয়েছিলেন, এখানে রাজনৈতিক কোনো ব্যাপার নেই।
বরাবর নিজের মতামত নির্ভীকভাবে প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে নাসিরউদ্দিনকে। সম্প্রতি ‘দ্য কেরালা স্টোরি’কে প্রোপাগান্ডা ছবি বলে দাবি করেছেন তিনি। স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন ওই ছবি তিনি দেখেননি, দেখবেন না।
তিনি আরো বলেছিলেন, বাস্তবের অবাধ ইসলামোফোবিয়াই উঠে আসছে সাম্প্রতিক সিনেমাগুলিতে। মাঝে মাঝে বিষয়টা যথেষ্ট চিন্তাদায়ক হয়ে উঠছে। মুসলিমদের ঘৃণা করা এখন ফ্যাশনেবল হয়ে উঠেছে। শিক্ষিত মানুষদের মধ্যেও এই প্রবণতাটা দেখা যাচ্ছে। শাসক দল খুব বুদ্ধিদীপ্ত ভাবে মস্তিষ্কের মধ্যে এগুলো ঢুকিয়ে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছিলেন নাসিরউদ্দিন।