বাংলাহান্ট ডেস্ক: তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি নাকি কেউ বোঝে না, বক্তব্য অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহের (Naseeruddin Shah)। দেশে সুস্থ তর্ক বিতর্কের অবকাশ নেই। যারা বিরোধিতার মনোভাব নিয়েই থাকেন তারা তাঁর প্রত্যেক কথারই প্রতিবাদ করবে, স্পষ্ট বলেন নাসিরুদ্দিন। ভারতে মোগল (Mughal) সাম্রাজ্য এবং সম্রাটদের গৌরব গাথা সম্পর্কে বলতে গিয়েই এমন মন্তব্য করেন তিনি।
আসন্ন ওয়েব সিরিজ ‘তাজ-ডিভাইডেড বাই ব্লাড’এ সম্রাট আকবরের ভূমিকায় দেখা যাবে নাসিরুদ্দিনকে। মোগল যুগের ব্যাপারে অভিনেতা বলেন, অনেক মোগল সম্রাটকেই বিনা কারণে খলনায়ক হিসাবে দেখানো হয়েছে। তাঁদের প্রত্যেককে অনুপ্রবেশকারীর তকমা দেওয়া হয়েছে। ভারতের প্রতি তাঁদের যেকোনো অবদান নিয়েই তোলা হয়েছে প্রশ্ন। এই প্রবণতার বিরুদ্ধেই সুর চড়িয়েছেন নাসিরুদ্দিন।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেন, ‘আমার অবাক লাগে দেখে যে মানুষ আকবর এবং নাদের শাহ বা তৈমুরের মতো একজন খুনি অনুপ্রবেশকারীর মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারেন না। এঁরা এখানে লুট করতে এসেছিলেন, মোগলরা নয়। ওরা এখানে এসেছিল নিজের ঘর বানাতে আর সেটাই করেছিল। তাদের অবদান কীভাবে কেউ অস্বীকার করতে পারে?’
নাসিরুদ্দিন স্বীকার করেছেন যে কয়েকজন মোগল সম্রাট বাস্তবিকই অনুপ্রবেশকারী ছিলেন, তাদের বিনা কারণে গৌরবান্বিত করা হয়েছে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে সকলকেই খলনায়ক বলে প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করা হবে। নাসিরুদ্দিনের কথায়, ‘ওরা যা করেছে সবকিছুই যদি খারাপ হয় তাহলে ভেঙে ফেলুন তাজমহল, ভেঙে ফেলুন লালকেল্লা, ভেঙে ফেলুন কুতুব মিনার। লালকেল্লাকে কেন পবিত্র মানা হয় যখন ওটা মোগলদের তৈরি? তাদের যেমন গৌরবান্বিত করার দরকার নেই তেমনি খলনায়ক বানানোরও প্রয়োজন নেই।’
প্রসঙ্গত, তাজ-ডিভাইডেড বাই ব্লাড সিরিজে নাসিরুদ্দিন ছাড়াও রয়েছেন ধর্মেন্দ্র, আসিম গুলাটি, প্রিন্স সেলিম, তাহা শাহ, অদিতি রাও হায়দরির মতো অভিনেতা অভিনেত্রীরা। আগামী ৩ রা মার্চ থেকে জি ফাইভে দেখা যাবে সিরিজটি।