অভাবের সংসারে টিউশনি ছাড়াই হাইমাদ্রাসায় প্রথম হল রাজমিস্ত্রির মেয়ে নসিফা, মা করেন বিড়ি বাঁধার কাজ

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়েছিল হাইমাদ্রাসার (High Madrasa) ফলাফল। বুধবার মাধ্যমিকের পর বৃহস্পতিবার হাইমাদ্রাসার ফলাফল প্রকাশের পর মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) চারিদিকে সাড়া ফেলে দিয়েছে শুধুমাত্র একটি নাম, নসিফা খাতুন। মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরের ছোট কালিয়ার বাসিন্দা নসিফা প্রথম স্থান অধিকার করে নিয়েছে, তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৭৭১।

পড়ার ফাঁকে বিড়ি বাঁধতেন
বাবা তোয়াব শেখ পেশায় রাজমিস্ত্রি এবং মা জোসেনূর বিবি বিড়ি বাঁধার কাজ করে। নসিফার বাড়িতে দুই ভাই এবং এক বোনও রয়েছে। সাংসারিক টানাপোড়েনের মধ্যেও মেধা, পড়াশোনার প্রতি ভালোবাসা ও অক্লান্ত পরিশ্রম সহযোগে সে পড়াশুনা চালিয়ে যেত। মাঝে মাঝে মাকে সাহায্য করতে পড়ার ফাঁকে বিড়ি বাঁধারও কাজ করত নসিফা।

new 67

টিউটর ছাড়াই দারুণ সাফল্য
ছোট থেকে কোন দিন ক্লাসে প্রথম হয়নি নসিফা। পরাশুনায় ভালো থাকায়, ভালো রেজাল্টের আশা ছিল। প্রথমে দাদার থেকে পরীক্ষার রেজাল্ট জানলেও, শিক্ষকদের থেকে প্রথম হওয়ার খবরে নিজেই বিশ্বাস করতে পারেনি সে। সাংসারিক প্রতিকূলতার কারণে কোন প্রাইভেট টিউটর ছিল না নসিফার। আজ এই সাফল্যে নসিফা এবং তাঁর পরিবারের সকলে ভীষণই খুশি।

বিজ্ঞান সাধনায় মন নসিফার
নসিফার এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত তাঁর এলাকাবাসীও। সাফল্যের এই আবেগে নসিফা জানিয়েছে, ‘ছোট থেকে খুব কষ্ট করে পড়াশোনা করে, আজ আমি এই সাফল্য পেয়ে ভীষণ খুশি। ভবিষ্যতে আমার বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনার ইচ্ছা আছে’। নসিফার এই স্বপ্ন সফলের পথে তাঁদের দরিদ্র যাতে বাঁধা হয়ে না দাঁড়ায়, এখন সেই চিন্তায় মগ্ন তাঁর বাবা মা।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর