বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা মামলায় (National Anthem Dishonoring Case) ফের স্বস্তিতে বিজেপি (BJP)। বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে করা মামলা সিঙ্গল বেঞ্চেই ফেরত পাঠাল কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। এদিন রাজ্যের আবেদন খারিজ করে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গল বেঞ্চেই ফেরত পাঠাল মামলা। ফের একবার বড়সড় ধাক্কা খেল রাজ্য।
বিধানসভায় জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার অভিযোগ উঠেছিল বিজেপির ১০ জন বিধায়কের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। এদের মধ্যে ৮ বিধায়ককে তলবও করেছিল লালবাজার। যার পাল্টা বিজেপি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। এরপরই পুলিশের তদন্তে স্থগিতাদেশের নির্দেশ দিয়েছিল সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। তবে সেখানেও লাভের লাভ কিছুই হল না।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ নভেম্বর ধর্মতলায় অমিত শাহের সভা ছিল। ওদিকে বি আর আম্বেদকরের মূর্তির নিচে তৃণমূলের ধর্না চলছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও উপস্থিত ছিলেন সেখানে। শাহী সভা শেষ হওয়ার পর শুভেন্দু অধিকারী সহ অন্য বিজেপি অন্য বিধায়করা বিধানসভায় আসেন। তৃণমূলের ধর্নার পাল্টা ধর্না শুরু করে বিজেপি। বিজেপি বিধায়কদের ‘চোর, চোর’ স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিধানসভা চত্বর।
এরপর এই উত্তপ্ত আবহেই তৃণমূলের ধর্না কর্মসূচির শেষে সকলকে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে জাতীয় সঙ্গীত চলাকালীনও থামেননি বিজেপি বিধায়করা। জোরে জোরে স্লোগান দিতে থাকেন। এই ঘটনাতেই ওই বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার অভিযোগ তুলে হাই কোর্টে যায় তৃণমূল।
আরও পড়ুন: .টানা তিন দিন বৃষ্টিতে ভিজবে কলকাতা দক্ষিণবঙ্গ, কখন শুরু? এক নজরে আবহাওয়ার খবর
প্রথম অবস্থায় এই মামলা সিঙ্গেল বেঞ্চে উঠলে বিধায়কদের বিরুদ্ধে পুলিশের তদন্তে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল আদালত। এরপরই ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। তবে এদিন রাজ্যের সেই আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে। জাতীয় সংগীত সংক্রান্ত মামলাতে ডিভিশন বেঞ্চেও ধাক্কা খেল রাজ্য। মামলা ফের এল সিঙ্গল বে়ঞ্চেই। নির্বাচনের মাঝে আদালতের এই রায় গেরুয়া শিবিরের জন্য বিরাট স্বস্তি বলেই মনে করা হচ্ছে।