দিঘায় নামল NDRF দল! ‘মোকা’ নিয়ে চলছে ব্যাপক তোরজোড়

বাংলা হান্ট ডেস্ক : ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’ (Cyclone Mocha) নিয়ে জোর তর্জা চলছে। কেউ বলছেন, বাংলায় কোনও প্রভাব পড়বে না। কেউ বলছেন, ল্যান্ডফল কোথায় বোঝা যাচ্ছে না। আবার অনেকে বলেছেন, এই রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে খানিক প্রভাব পড়বে। বিশেষ কিছু ভয়ের নেই। আবহাওয়া দফতরের কর্তারাও তাঁদের মতো করে ব্যাখ্যা করছেন। সুতরাং একটা ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে মানুষের মধ্যে। এরই মধ্যে আজ, বৃহস্পতিবার দিঘায় (Digha) নামল এনডিআরএফ–এর টিম। দিঘা উপকূলবর্তী এলাকা। তাই এখানে বাড়তি নিরাপত্তা নেওয়া প্রয়োজন।

এই এলাকায় পর্যটকদের আনাগোনা সবচেয়ে বেশি। তাই এখানে মাইকিং অত্যন্ত প্রয়োজন। সমুদ্রপিপাসু পর্যটক যাতে সমুদ্রসৈকতে ঝাঁপিয়ে না পড়েন এবং বিপদ না ঘটে তার জন্যই আগাম নামল এনডিআরএফ–এর টিম। তবে ‘মোখা’র প্রভাব এই রাজ্যে বিশেষ পড়বে না বলেই মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।

ndrf 2

শুধু দুই ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলার উপকূলবর্তী এলাকায় শনিবার ও রবিবার কিছুটা ঝড়বৃষ্টি হতে পারে বলে কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন। রবিবার ‘মোখা’ বাংলাদেশের কক্সবাজার ও উত্তর মায়ানমারের কায়ুকপাউয়ের মধ্যে কোনও জায়গা দিয়ে উপকূল অতিক্রম করবে বলে জানানো হয়েছে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ নিয়ে সর্তকতা জারি করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। মাইকিং করে সতর্কতামূলক প্রচার করছে এনডিআরএফ টিম। আগামী ১২ এবং ১৩ মে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা কথা তুলে সকল পর্যটকদের সমুদ্রে নামার নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মৎস্যজীবীদের এই দু’‌দিন সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। এই টিম উপকূলবর্তী গ্রামেও ঘুরে মাইকিং চালাবে।

দিঘাতে এখন পর্যটকের ভিড় রয়েছে। তিনটি গ্রুপে ৩৬ জন এনডিআরএফ–এর কমান্ডার নামানো হয়েছে। তবে পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলার কিছু অংশে বজ্রমেঘ তৈরি হয়েছে। কিছু পরিমাণে জলীয় বাষ্পের উপস্থিতির জন্যই স্থানীয়ভাবে বিক্ষিপ্ত বজ্রমেঘ তৈরি হয়েছে। দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর ও কলকাতা ছাড়া দক্ষিণবঙ্গের সব জেলা ও উত্তরবঙ্গের দুই দিনাজপুর ও মালদায় শুক্রবার তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা জারি হয়েছে।


Sudipto

সম্পর্কিত খবর