মালদা কাণ্ডে এবার রিপোর্ট তলব জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের! বেঁধে দেওয়া হল ডেডলাইন

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যর গন্ডি ছাড়িয়ে গোটা দেশে শোরগোল ফেলেছে মালদার বামনগোলার ঘটনা (Malda Incident)। ভরা হাটে দুই আদিবাসী মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধরের ঘটনায় উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। এরই মধ্যে এবার এই ঘটনায় রিপোর্ট তলব করল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের (National Human Rights Commission)। বেঁধে দেওয়া হল সময়সীমাও।

দুই সপ্তাহের মধ্যে জেলা পুলিশ সুপারকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে এনএইচআরসি। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন মুখ্যসচিব ও ডিজিপি-কেও বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ১৮ জুলাই দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে বেধড়ক মারধর, জুতোপেটা করার অভিযোগ ওঠে মালদার (Malda) বামোনগোলা থানার পাকুয়াহাট এলাকা থেকে। হাটে পকেটমার সন্দেহে প্রথমে ওই দুই মহিলাকে আটক করা হয়।

এরপরই চোর, অভিযোগ তুলে দুই মহিলার ওপরu চড়াও হয় উন্মত্ত জনতা। বিবস্ত্র করিয়ে চলে মারধর। তবে শুধু মারধরই নয়, ওই দুই নির্যাতিতাকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। সোমবার বিকেলে জামিন পান ওই দুই মহিলা। জানা যায় থানা ভাঙচুরের অভিযোগ দিয়ে ওই তাদের জেলে পাঠিয়েছিল পুলিশ।

চরম নিন্দনীয় এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হলে শোরগোল পড়ে যায় রাজ্যে। পুলিশ খবর পেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা করা তো দূর উল্টে নির্যাতিতাদেরই ফাঁড়ি ভাঙচুরের মামলা দিয়ে জেলে পাঠায়। যদিও আদালতে মামলা উঠলে সোমবার বিকেলেই তাদের জামিন দিয়ে দেন মালদা জেলা আদালতের বিচারক মৃণালকান্তি মণ্ডল। তবে ততক্ষনে সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় সেদিন জেলেই কাটাতে হয় তাদের।

malda incedent

মঙ্গলবার সকালে জেল থেকে বেরনোর সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পুলিশের ওপর ক্ষোভ উগরে দেন তারা। ২ নির্যাতিতা বলেন, ‘আমরা চুরি করিনি। আমরা পাকুয়াহাটে মাছ বিক্রি করতে গিয়েছিলাম। তখন এক মিষ্টির দোকানদার আমাদের বিরুদ্ধে চুরির অপবাদ দেয়। এর পরই জনতা আমাদের মারধর শুরু করে। গায়ের জামা কাপড় ছিঁড়ে ফেলে তাঁরা।’

তারা আরও জানান, ‘মিথ্যা মামলা দিয়ে পুলিশ আমাদের জেলে পাঠিয়েছে। গত সোমবার আমরা নালাগোলা ফাঁড়ি ভাঙচুর করেছি বলে অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে ওই দিন আমরা নালাগোলা ফাঁড়ির ধারে কাছেও যাইনি। দুজনেই বাড়িতে ছিলাম।’ গতকাল জামিনে ছাড়া পেয়ে ভয়ে নিজের বাড়ি যাওয়ার বদলে অজ্ঞাতস্থানে চলে যান দুজনেই।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর