বাংলাহান্ট-গতকাল ফের কেন্দ্রের দিকে তীব্র সমালোচনা করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। তিনি বলেন আমরা বৈঠকে যাবো না। যদি পারে সরকার ভাঁঙে দিক। আমিও মানুষের ভোটে সরকার তৈরি করেছি। গত ১৭তারিখ এনপিআর নিয়ে সব রাজ্যেকে নিয়ে বৈঠক করার আহবান জানিয়েছেন কেন্দ্র সরকার।
সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোন প্রতিনিধি দিল্লিতে হাজির থাকবেন না বলে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন এবং যে অবস্থান বিক্ষোভ চলছে তা আগামী দিন তিনি আরও বৃহত্তর আন্দোলন করবেন বলে জানা গেছে, এদিকে বিজেপির পক্ষ থেকে দিলীপ ঘোষ বলেন ফের বঞ্চনার শিকার হবে বাংলার মানুষ, কারণ দশ বছর অন্তর জনগণনা করা হয়। একসাথে কেন্দ্র সরকারের কোন সম্পর্ক নেই কিন্তু তা মানতে নারাজ রাজ্যের শাসক দল তাদের দাবী এনপিআরের নামে বিশাল চক্রান্ত করছে মোদী সরকার।
এদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের যে তথ্য সংগ্রহ চালু করতে চলেছে তা ভারতে কতো মানুষ বাসকরে তার তথ্য তুলে ধরা। এটাকে বলা হয়েছে এন পি আর। এর কাজ শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্র সরকার।১লা এপ্রিল থেকে ৩০সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এবং সব রাজ্য সরকার
ইতিমধ্যে এই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কেন্দ্র সরকার। তাতে প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ করতে হবে এবং যদি কেউ না করে থাকে তাহলে আবার জনগণনা দ্বিতীয় পর্বের কাজ শুরু হবে ৯ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ২০২১সালে। প্রতি ১০ বছর অন্তর জনগণনা করা হয় এবং ভারতবর্ষের কত কোটি মানুষ আছেন এই জনগণনার মাধ্যম দিয়ে জানা যায়।
শেষ ২০১০ সালের জনগণনা হয়েছিল আবার ২০২০ সালের ১লাএপ্রিল থেকে এই কাজ শুরু হচ্ছে। ৪৫ দিনে জনগণনা কর্মীরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করবেন এবং এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৪৫দিনে সেই তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষ করবে এবং তা রাজ্য সরকারের অধীনে হবে বলে জানা গেছে। পশ্চিমবঙ্গ, তেলেঙ্গানা, চেরাপুঞ্জি অন্য কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গুলোতে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। বিজেপির সাথে কেন্দ্র সরকারের কোন সম্পর্ক নেই। প্রতি দশ বছর অন্তর ভারতবর্ষের কত লোক সংখ্যা বাড়ছে তার হিসেব রাখা।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দল একাধিক প্রতিক্রিয়া দিয়েছে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে পদ্ধতিগত বিজেপি সরকার ভুল করছে কিন্তু বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে এর সাথে কোন সম্পর্ক নেই প্রতি ১০ বছর অন্তর হয়২০০০ সালে হয়েছিল ২০১০ সালে হয়েছিল ২০২০ সালে হবে অর্থাৎ মানুষ ভারতবর্ষে কমলো বা বাড়লো তার ওপর নির্ভর করেই জন্যই এই এনপিআর।
আগামী পয়লা এপ্রিল থেকে এই তথ্য সংগ্রহ শুরু হবে। সেখানে এনপিআর কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবেন এবং সরকারি যে নথি আছে তাও দেখতে চাইবেন। যুক্তরাষ্ট্র পরিকাঠামে ১০ বছর অন্তর এই পদ্ধতি ভারতবর্ষে হয়। সরকার যেই আসুক বা না আসুক জনগণনা ১০বছর অন্তর হবে ইতিমধ্যে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।