বাংলা হান্ট ডেস্ক: উনুনের ধোঁয়া খেয়ে রান্না করার দিন শেষ। সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় এখন বাড়ি বাড়ি পৌঁছে গিয়েছে রান্নার গ্যাস (Cooking Gas)। কিন্তু প্রতিনিয়ত যে হারে এই রান্নার গ্যাসের দাম বাড়ছে তাতে কার্যত মাথায় হাত মধ্যেবিত্তের। প্রত্যেক মাসে শুধু এই রান্নার গ্যাসের পিছনেই খরচ হয় গাদা গাদা টাকা।
তবে এবার আর চিন্তা নেই মধ্যবিত্তের খরচ বাঁচাতে আসছে প্রাকৃতিক গ্যাস (Natural Gas ) সরবরাহের ব্যবস্থা। এবার কলকাতা-সহ রাজ্যের মোট ৬’টি জেলায় পাইপ লাইন মারফত বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হবে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহের ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থা চালু করা হলে রান্নার গ্যাসের পিছনে খরচ কমে যাবে অনেকটা।
গ্যাস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড (GAIL) সম্প্রতি এই প্রাকৃতিক সরবরাহের প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এই সংস্থারই সহযোগী প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড (BGCL) এবং রাজ্যের গ্রেটার ক্যালকাটা গ্যাস সাপ্লাই কর্পোরেশন যৌথ উদ্যোগে এই প্রকল্প রূপায়ণের দায়িত্ব পেয়েছে। জানা গিয়েছে কলকাতা সহ হাওড়া হুগলি ও দুই ২৪ পরগণা এবং নদীয়ায় ইতিমধ্যে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য কাজ শুরু হয়েছে জোর কদমে।
জানা আছে আগামী দিনে এই ৬ জেলার মোট ৪০ টি পুরসভা এলাকায় বসানো হবে এই প্রাকৃতিক গ্যাসের পাইপলাইন। এ প্রসঙ্গে নির্মাণকারী সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে পরিবেশবান্ধব এই প্রাকৃতিক গ্যাসের পাইপ লাইন বসানো হলে একদিকে যেমন তা পরিবেশের পক্ষে অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য হবে তেমনি যে হারে রান্নার গ্যাসের দাম বাড়ছে তার থেকে অনেকখানি স্বস্তি পাবেন আম জনতা। সূত্রের খবর এখনও পর্যন্ত কয়েকটি ধাপে এই গ্যাস সরবরাহের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।
আরও পড়ুন: কালীঘাটে ধুন্ধুমার! CPM-র প্রচারে পুলিশি বাধা! ‘গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে’, তোপ মীনাক্ষীর
তার মধ্যে প্রথম ধাপেই হুগলির মগরার রাজারামবাটী এবং নদিয়ার গয়েশপুরে দু’টি গ্যাস সরবরাহ কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে।ওই কেন্দ্রটি থেকেই দিল্লি রোড হয়ে একটি পাইপ লাইন গিয়েছে হাওড়ার উলুবেড়িয়া পুরসভা পর্যন্ত। এছাড়া দিল্লি রোড লাগোয়া হুগলির যে সমস্ত পুরসভা আছে, ওই গ্যাস পাইপের মাধ্যমে সেখানেও প্রাকৃতিক গ্যাস পাঠানো হবে।
একই ভাবে গয়েশপুরের গ্যাস সরবরাহ কেন্দ্র থেকে উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুর, বারাসত হয়ে কলকাতার নিউটাউন, বিধাননগর হয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুর পর্যন্ত টানা হবে এই প্রাকৃতিক গ্যাসের পাইপ লাইন। প্রসঙ্গত বিগত পাঁচ বছরে এক লক্ষ গ্যাস কানেকশনের লক্ষ্য সামনে রেখেই চলছে কাজ। জানা যাচ্ছে এই গ্যাসের মূল জোগান আসবে গেলের দুর্গাপুরের প্লান্ট থেকে।