৫৬ ইঞ্চির দম! স্বাধীনতার পর এই প্রথম কাশ্মীরের সারদা মাতা মন্দিরে হল নবরাত্রি পুজো

বাংলা হান্ট ডেস্ক: স্বাধীনতার পর এই প্রথম কাশ্মীরের (Kashmir) কুপোয়ারা জেলার সারদা মাতা মন্দিরে (Sharda Mata Mandir) অনুষ্ঠিত হল নবরাত্রি (Navaratri) পুজো। ১৫ অক্টোবর ওই মন্দিরে এই পুজো হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) নিজে সামাজিক মাধ্যমে এই কথা জানিয়েছেন।

শাহ এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘এটি একটি গভীর আধ্যাত্মিক তাৎপর্যের বিষয়ে যে ১৯৪৭ সাল থেকে প্রথমবারের জন্য এই প্রথম এই বছরে কাশ্মীরের ঐতিহাসিক সারদা মন্দিরে নবরাত্রি পুজো অনুষ্ঠিত হল। গত ২৩ মার্চ এই মন্দিরটি পুনরায় খোলার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। এটি কেবল উপত্যকায় শান্তি প্রত্যাবর্তনের ইঙ্গিতই করে না, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) নেতৃত্বে আমাদের দেশের আধ্যাত্মিক এবং সাংস্কৃতিক শিখাকে পুনরুজ্জীবিত করে।’

 

উল্লেখ্য, ইসলামিক (Islamic) সন্ত্রাসবাদীদের হামলায় সীমান্তের কাছে অবস্থিত সারদা মাতা মন্দিরটি ভাঙা পড়েছিল। তারপর থেকেই জরাজীর্ণ অবস্থায় ছিল ওই মন্দিরটি। কেন্দ্রীয় সরকার ঐতিহাসিক মন্দিরটির পুনর্নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। এরপর নতুন করে মন্দিরটির পুনর্নির্মাণ করা হয়। সেই কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর চলতি বছরের মার্চ মাসে এই মন্দিরটির উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

ওই দিন মন্দিরে পুজো উপলক্ষে আশেপাশের জেলা থেকে বিশাল সংখ্যক হিন্দু (Hindu) ধর্মাবলম্বী মানুষরা উপস্থিত ছিলেন। কর্নাটকের হাম্পি থেকে উপস্থিত হয়েছিলেন স্বামী গোবিন্দানন্দ সরস্বতী মহারাজ এবং তাঁর শিষ্যরা। এছাড়াও কাশ্মীরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিভিন্ন হিন্দু পণ্ডিত সম্প্রদায়ের বিখ্যাত ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

কাশ্মীরের সারদার মাতা মন্দির একটি প্রাচীন এবং ঐতিহাসিক মন্দির। ১৯৪৭ সালে কাশ্মীরের ভারতে অন্তর্ভুক্তির সময় হওয়া যুদ্ধে ইসলামিক সন্ত্রাসবাদীরা এই মন্দিরে আঘাত হানে। স্থানীয় হিন্দুদের প্রায় সকলেই ওই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। ফলে তারপর থেকেই ভগ্ন অবস্থায় পড়েছিল এই মন্দিরটি। এরপরে কেন্দ্রীয় সরকারের তত্ত্বাবধানে অবশেষে ওই মন্দির পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু হয়।


Monojit

সম্পর্কিত খবর