বাংলা হান্ট ডেস্ক : একাধিক বিষয়ে সরল হচ্ছে আইএসএফ (Indian Secular Front) ও বিজেপির (Bharatiya Janata Party) সম্পর্ক। হোয়াটসআপ চ্যাট’ও ভিডিও বার্তার পর এবার নিরাপত্তা বিতর্ক। ফের প্রকাশ্যেই দু’দলের ঘনিষ্ঠতা। আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে (Nawsad Siddique) জেড ক্যাটাগরি নিরাপত্তা দিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলেই বিজেপি বিধায়কদের মতোই কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে থাকবেন রাজ্যের একমাত্র বাম সমর্থিত আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ। এদিকে ভাঙড়ে অশান্তির পর রাজ্যের পক্ষ থেকে জেড ক্যাটাগরি নিরাপত্তা পেতে পারেন বিধায়ক শওকত মোল্লাও।।
গত শুক্রবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর কাছে লিখিত আবেদন করেন ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যেই তাঁকে নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের সুপারিশেই তড়িঘড়ি নৌশাদকে নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়টি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সিদ্ধান্ত নেয় বলে অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল।
এই ঘটনার পরই বাম, কংগ্রেস, বিজেপি ও আইএসএফ জোট আরও স্পষ্ট হচ্ছে বলেও দাবি জোড়াফুল শিবিরের। গতকাল শনিবার আইএসএফের প্রতিষ্ঠাতা আব্বাস সিদ্দিকীর একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আনেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারন সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। সেই ভিডিওতে আব্বাসকে বলতে শোনা যায় ‘আমরা যাঁরা বিজেপিকে ভালবাসি।’
এখানেই শেষ নয়, এরপর ২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময় তৎকালীন বঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীর সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটও দেখান কুণাল। এরপরই বাংলার শাসক দলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় রাজ্যে তলায় তলায় বাম, বিজেপি, কংগ্রেস ও আইএসএফ জোট করে চলছে।
প্রসঙ্গত, নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়টি দেখভাল করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। নওশাদ অমিত শাহকে (Amit Shah) নিরাপত্তা চেয়ে চিঠি লিখতেই তিনি সটান তা তাঁর ডেপুটির কাছে পাঠিয়ে দেন। জানা গিয়েছে, এরপরই মন্ত্রকের আধিকারিকরা প্রথমে শাহর আরেক ডেপুটি নিশীথ প্রামানিকের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্বের সিদ্ধান্তের উপর ছেড়ে দেন। এরপরই ওই আধিকারিক রাজ্য বিজেপির দুই শীর্ষনেতার সঙ্গে আলোচনা করেন। দু’জনেই নওশাদকে নিরাপত্তা দেওয়ার পক্ষে মত করেন বলে জানা যাচ্ছে।