বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য্যের হয়ে রাজ্যে প্রচারে আসার কথা ছিল NCP প্রধান শরদ পাওয়ারের। কিন্তু ওনার আর রাজ্যে প্রচারে আসা হচ্ছে না। আর এর প্রধান কারণ হল ওনার শারীরিক অবস্থার অবনতি। আগামী ৩১ তারিখ ওনাকে অস্ত্রপচারের জন্য হাসপাতালে ভর্তি করানো হবে বলে জানান এনসিপি নেতা নবাব মালিক।
গতকালই পেতে ব্যথার কারণে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারকে। চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণের পর জানা যায় যে শরদ পাওয়ারের গোল ব্ল্যাডারে সমস্যা রয়েছে। আর ওনাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে অস্ত্রপচার করাতে হবে। জানা গিয়েছে যে, আগামী ৩১ মার্চ শরদ পাওয়ারকে অস্ত্রপচারের জন্য হাসপাতালে ভর্তি করানো হবে। এই খবর সামনে আসার পর ওনার বাংলায় তৃণমূলের হয়ে প্রচারে আসার কর্মসূচি আপাতত স্থগিত।
আরেকদিকে, NCP প্রধান শরদ পাওয়ায় আর প্রফুল্ল প্যাটেলের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার খবর প্রকাশ্যে আসার পর রাজনৈতিক পারদ চড়া শুরু করেছে। একদিকে NCP এই মিটিংয়ের খবর খারিজ করে দিয়েছে, আরেকদিকে কংগ্রেস নেতারা এই মিটিং নিয়ে নানান প্রশ্ন তোলা শুরু করেছে। কংগ্রেস জানায়, যদি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেশের বড় নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে থাকেন, তাহলে দেশবাসীকে জানানো উচিৎ। দেশবাসীর জানার অধিকার আছে। আরেকদিকে, সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সবকিছু সার্বজনীন করা যায় না।
NCP নেতা নবাব মালিক গোপন এই সাক্ষাতের খবর নিয়ে বলেন, ‘গুজরাটের একটি সংবাদপত্রে খবর ছাপা হয়েছে যে, শরদ পাওয়ার সাহেব আর প্রফুল্লু প্যাটেলে অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। বিগত দু’দিন ধরে টুইটারে এই গুজব ছড়ানো হচ্ছে। কিন্তু এরকম কোনও সাক্ষাৎ হয়নি দুই নেতাদের মধ্যে।” নবাব মালিক এই সাক্ষাতের খবরে বিরাম লাগানোর জন্য বিজেপিকে কটাক্ষ করে বলেন, বিজেপি সবসময় এরকম গুজব ছড়ায়। তিনি বলেন, দুই নেতার মধ্যে কোনও সাক্ষাৎ হয় নি। শরদ পাওয়ার আর প্রফুল্ল প্যাটেল জয়পুর থেকে সরাসরি মুম্বাই এসেছিলেন।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, NCP-এর দুই বড় নেতা শরদ পাওয়ার আর প্রফুল্ল প্যাটেল শুক্রবার আহমেদাবাদ গিয়েছিলেন। এরপর সেখান থেকে দুজনে গুজরাটের গান্ধীনগরে যান। শোনা যাচ্ছে যে, গান্ধীনগরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ওনারা। আর এরপর থেকেই জাতীয় রাজনীতিতে দুই বড় নেতার সাক্ষাৎ নিয়ে নানান জল্পনা ছড়িয়ে পড়ে।
বলে দিই, মহারাষ্ট্রের দুঁদে পুলিশ অফিসার শচিন বাজে জঙ্গিযোগ কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয়েছে। আর এরমধ্যে অমিত শাহের সঙ্গে শরদ পাওয়ারের সাক্ষাৎ জল্পনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। একদিকে যেমন এনসিপির তরফ থেকে এই সাক্ষাতের খবরকে গুজব বলা হচ্ছে, তেমন আরেকদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই নিয়ে মুখ খুলতে রাজি নন।