বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আলিপুরদুয়ার কাণ্ডে তৎপর হল মহিলা কমিশন। এই মামলায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার করার দাবিতে জাতীয় মহিলা কমিশনের তরফ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে। আগামীকাল বুধবার আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপারকে ভার্চুয়ালি বৈঠকে হাজির থাকার নির্দেশও জারি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, আলিপুরদুয়ারে এক মহিলার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক থাকার কারণে স্থানীয়রা পঞ্চায়েত বসিয়ে মহিলাকে নগ্ন করে মারধোর করে এরপর তাঁকে গোটা গ্রামে ঘোরায়। এখানেই থেমে থাকেনা তাঁরা। শেষে নগ্ন অবস্থায় থাকা মহিলার ভিডিও তুলে সেটিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেওয়া হয়। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর পুলিশ ছয়জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রামে সালিশি সভা বসিয়ে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক থাকার কারণে আদিবাসী মহিলাকে নগ্ন করে মারধোর করা হয়। এরপর তাঁকে নগ্ন অবস্থাতেই গোটা গ্রামে ঘোরানো হয়। সেই সময় তাঁর ছবি ও ভিডিও তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেওয়া হয়। এই ঘটনা বৃহস্পতিবার ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। তবে রবিবার রাতে ঘটনাটি সবার সামনে আসে।
এই লজ্জাজনক ঘটনা আলিপুরদুয়ার জেলার কুমারগ্রামের চেঙ্গমারে ঘটেছে। পুলিশ সুত্র অনুযায়ী, নির্যাতিতা মহিলার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল, মাস ছয়েক আগে ওই মহিলা এক পুরুষের সঙ্গে চলে গিয়েছিল, কিন্তু এরপর সেই পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হওয়ার সে আবার তাঁর স্বামীর কাছে ফিরে আসে। তাঁকে আবার গ্রামে দেখে স্থানীয়রা চটে যায়।
এরপরই গ্রামের বয়স্কদের কথামতো মহিলা আর তাঁর স্বামীকে শারীরিক এবং মানসিক দিক থেকে অত্যাচার করা হয়। আর এরপর সেই আদিবাসী দম্পতিকে বৃহস্পতিবার সালিশি সভায় উপস্থিত থাকার ফতোয়া জারি করা হয়। এছাড়াও আদিবাসী দম্পতিকে একঘরে করার ফতোয়া জারি করা হয়।
নির্যাতিতা মহিলা জানান, সালিশি সভায় তাঁকে মারধোর করা হয়। এরপর বৈঠকে উপস্থিত গ্রামের যুবকরা একে একে তাঁর জামা-কাপড় ছিঁড়ে ফেলে। তাঁকে নগ্ন করে গোটা গ্রাম ঘোরায়। নগ্ন অবস্থায় থাকা মহিলার ভিডিও করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেওয়া হয়। ভিডিও ভাইরাল হতে পুলিশ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। এসপি ভোলানাথ পাণ্ডে জানান, নির্যাতিতা মহিলার অভিযোগের পর সোমবার ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।