২৫০ বছরের পুরনো মনেস্ট্রি! দার্জিলিংয়ের কাছে এই গ্রামে গেলে পাবেন স্বর্গীয় তৃপ্তি, খরচও সামান্য

বাংলাহান্ট ডেস্ক : গরমকালে বাঙালির পাহাড় ভ্রমণ মানেই দার্জিলিং। কম খরচায় প্রত্যেক বাঙালি গরমকালে একটি বারের জন্য যেতে চান এই শৈল শহরে। কিন্তু অনেকেই আছেন যারা দার্জিলিংয়ের ভিড় থেকে দূরে গিয়ে একটু নিরিবিলিতে সময় কাটাতে চান। আজ এমনই একটি জায়গার সন্ধান দেব আমরা।

এই জায়গাটি রয়েছে দার্জিলিং এর মধ্যেই। দার্জিলিং (Darjeeling) শহর থেকে মাত্র এক ঘন্টার দূরত্বের এই গ্রাম আপনাদের ভালো লাগবেই। এই গ্রামে রয়েছে রঙ্গিত নদী। চারদিকের সবুজ বনানী আপনার মনকে শান্ত করে তুলবে। আমরা কথা বলছি দার্জিলিং এর একটি ছোট্ট গ্রাম কিজমকে (Kizom) নিয়ে।

Kizom

কিজম থেকে কিন্তু কাঞ্চনজঙ্ঘার ভালো ভিউ পাওয়া যায় না। কিন্তু এই গ্রাম থেকে আশেপাশের তুষার শুভ্র শৃঙ্গগুলি ভালো রকম ভাবেই দৃষ্টিগোচর হয়। এছাড়াও এই গ্রাম থেকে দেখা যায় সিকিম। সিকিমের রাস্তাঘাট ও সেখানকার গাড়ি চলাচল দেখা যায় এই গ্রামে বসেই। রঙ্গিত নদী বয়ে চলেছে সিকিম ও কিজমের মধ্য দিয়ে।

নেজি মনেস্ট্রি নামের একটি প্রাচীন গুম্ফা রয়েছে এই গ্রামে। এটি তৈরি ১৭৬০ সালে। তেন্দুক রাজার প্রাসাদ ছিল এই কাঠের গুম্ফাটি। এই গুম্ফার ভেতরটি প্রাকৃতিক রং দিয়ে কারুকার্য করা। এছাড়াও কার্মি ফার্ম রয়েছে এই গ্রামে। এটি একটি হোমস্টে। প্রাচীন এই হোমস্টেটি শুরু করেন তেন্দুক রাজার বংশধর অ্যান্ড্রু।

Kizom

এই গ্রামের দূরত্ব দার্জিলিং থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার। বিজনবাড়ি থেকে শেয়ার গাড়ি করে আপনারা এখানে পৌঁছাতে পারেন। এছাড়াও শিলিগুড়ি ও দার্জিলিং থেকে প্রাইভেট গাড়ি পাবেন। বিভিন্ন ধরনের হোমস্টে রয়েছে এই গ্রামে। থাকা-খাওয়াসহ এই হোমস্টেগুলির খরচ জনপ্রতি প্রতিদিন ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা।


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর