একঘেয়ে লাগছে দার্জিলিং? গরমের ছুটিতে পাড়ি জমান মিরিকের এই গ্রামে, পাবেন সবুজের মেলা

বাংলাহান্ট ডেস্ক : এই বছরের গরম ভেঙে দিয়েছে অতীতের সব রেকর্ডকে। উত্তর থেকে দক্ষিণ, গোটা বঙ্গ প্রদেশ তীব্র দাবদাহের শিকার। কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৪২°। এমন অবস্থায় সবাই চাইছেন কিছুদিনের জন্য পাহাড়ে ঘুরতে যেতে। পাহাড় বলতেই আমাদের সবার মনে প্রথম যে নামটা আসে সেটা হল দার্জিলিং (Darjeeling)।

কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা অতীতে বহুবার দার্জিলিং ঘুরতে গেছেন। প্রতিবছর এক জায়গায় যেতে কারই বা ভালো লাগে! আজ আমরা পাহাড়ে এমন এক অফ বিট স্থানের খোঁজ নিয়ে এসেছি যার নাম হয়তো আপনারা অনেকেই শোনেননি। আজ আমরা কথা বলব মিরিকের কাছে ছোট্ট সবুজ গ্রাম বানকুলুংকে (Bankulung) নিয়ে।

Bangkulung

মিরিক পাহাড় প্রেমীদের কাছে অন্যতম প্রিয় একটি টুরিস্ট স্পট। এই মিরিকের খুব কাছেই রয়েছে বানকুলুং। এই জায়গাটি সাধারণত চাষের কাছে ব্যবহার করা হয়। বানকুলুং খুব সহজেই পৌঁছানো যায় মিরিক থেকে। মিরিক থেকে এই গ্রামের দূরত্ব মাত্র ১৬ কিলোমিটার। নিউ জলপাইগুড়ি বা শিলিগুড়ি থেকে বানকুলুং ৪৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

বালাসন ও মুরমাহ নদী বয়ে গেছে এই গ্রামের উপর দিয়ে। এই গরমের ছুটিতে আপনারা নদীর মধ্যে পা ডুবিয়ে কাটাতে পারেন মনোরম সময়। শহরের কোলাহল থেকে দূরে নিরিবিলি এই গ্রামটি আপনাদের মন জয় করবে। এই গ্রামের চারদিকে রয়েছে সবুজের সমারহ। স্বপ্নের ছবির মত রয়েছে ধানক্ষেত। এইসব জমিতে ঘুরতে গেলে দারুচিনির গন্ধ আপনার নাকে আসবে।

bunkulung 6 1024x768

চাষ জমি, নদী, সবুজ খোলা মাঠ এসব কিছু এই গ্রামকে এক অপরূপ স্বর্গ রাজ্যে পরিণত করেছে। এই গ্রামের আকাশে উড়ে বেড়ায় নানা প্রজাতির পাখি। মুরমাহ চা বাগান রয়েছে এই গ্রামের শেষ প্রান্তে। তবে খারাপ রাস্তার জন্য বর্ষাকালে এই জায়গাটিকে এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। থাকার জন্য এই গ্রামে রয়েছে অনেক হোম স্টে। এছাড়াও তাঁবুতে রাতে থাকার ব্যবস্থা রয়েছে।

 

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর