বাংলা হান্ট ডেস্ক: সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) এখনও পর্যন্ত দেশের সবচেয়ে বড় ব্যাঙ্কিং জালিয়াতির মামলায় একটি এফআইআর নথিভুক্ত করেছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ABG শিপইয়ার্ডের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ওই সংস্থার বিরুদ্ধে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকারও বেশি জালিয়াতি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই প্রসঙ্গে এক সিবিআই আধিকারিক জানিয়েছেন যে, মোট ২৮ টি ব্যাঙ্ক থেকে প্রায় ২২,৮৪২ কোটি টাকা প্রতারণা করার জন্য ABG শিপইয়ার্ড এবং এর ডিরেক্টরদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে যে, এই কোম্পানিটি মূলত জাহাজ নির্মাণ ও জাহাজ মেরামত সংক্রান্ত কাজ করত। সংস্থাটির শিপইয়ার্ড গুজরাটের দাহেজ এবং সুরাটে অবস্থিত। ঘটনাটি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে। ABG শিপইয়ার্ডের বিরুদ্ধে ২৮ টি ব্যাঙ্কের ২২,৮৪২ কোটি টাকা টাকার প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছে।
পাশাপাশি, সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন জানিয়েছে যে, ABG শিপইয়ার্ডের ডিরেক্টর ঋষি আগরওয়াল, সন্থানাম মুথুস্বামী এবং অশ্বিনী আগরওয়াল ব্যাঙ্কগুলিকে ২২,০০০ কোটি টাকারও বেশি ফাঁকি দিয়েছেন।
এই প্রসঙ্গে SBI অভিযোগ করেছে যে, সংস্থাটি এই ব্যাঙ্কের কাছ থেকে ২,৯২৫ কোটি টাকার ঋণ নিয়েছিল। পাশাপাশি, ICICI ব্যাঙ্ক থেকে ৭,০৮৯ কোটি, IDBI থেকে ৩,৬৩৪ কোটি, ব্যাঙ্ক অফ বরোদা (BOB) থেকে ১,৬১৪ কোটি, পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক থেকে ১,২৪৪ কোটি এবং IOB থেকে ১,২২৮ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছিল বলে ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে।
স্বাভাবিকভাবেই, এই মামলার আরও তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। সমস্ত প্রাসঙ্গিক নথিও যাচাই করা হচ্ছে। এর আগে হীরে ব্যবসায়ী নীরব মোদির পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের (পিএনবি ব্যাঙ্ক জালিয়াতি) সঙ্গে ১৪ হাজার কোটি টাকার জালিয়াতির ঘটনা সকলেই জানেন। ইতিমধ্যেই দেশ-বিদেশে নীরব মোদির বহু সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তবে, পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে এই জালিয়াতি নীরব মোদিকেও ছাড়িয়ে গেছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই নীরবকে লন্ডন থেকে ভারতে ফেরত আনার চেষ্টা চলছে। একই সঙ্গে বিজয় মালিয়ার প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকার ব্যাঙ্ক জালিয়াতির মামলাও খবরের শিরোনামে এসেছে। তাঁকেও দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে।