সংসার চালাতে লোকের বাড়ি কাজ করতো মা! ‘দাদাগিরি’র মঞ্চে কেঁদেই ফেললেন ‘সৃজন’ রুবেল

বাংলা হান্ট ডেস্ক : যে কোনও মানুষের সফলতার পেছনে কিছু মানুষের অবদান অনস্বীকার্য। আর সেই মানুষগুলির মধ্যে সবার আগে থাকে মা-বাবার নাম। একইরকম ঘটনা রুবেল দাসের (Rubel Das) জীবনেও। এইদিন দাদাগিরির (Dadagiri) মঞ্চে এসে মুখ খুললেন অভিনেতা। ভক্তদের সামনে তুলে ধরলেন নিজের জীবনের কঠিন অভিজ্ঞতার কথা। এইদিন রুবেলের সেই কথা শুনে চোখ ভিজেছে বহু দর্শকের।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ৬ অক্টোবর থেকেই জি বাংলার পর্দায় দেখানো হচ্ছে ‘দাদাগিরি’র ১০ নম্বর সিজন। গত শনিবার বিশেষ অতিথি হিসেবে মঞ্চে হাজির ছিল পর্না সৃজনের গোটা পরিবার। আর সেখানেই রুবেলের জন্য একটি সারপ্রাইজ ভিডিওর ব্যবস্থা করেন সৌরভ। সেই ভিডিওটি রুবেলের মায়ের। রুবেল যখন ছোট তখন তার বাবার কাজ চলে যায়। এরপর প্রায় একা হাতেই গোটা সংসার সামলেছেন তিনি।

সংসার চালানোর টাকা জোগাড় করার জন্য সেলাইয়ের কাজ করতেন তিনি। এইভাবেই দুই ছেলেকে মানুষ করেন তিনি। একটা সময় বড় ডান্সার হওয়ায় স্বপ্ন দেখতেন রুবেল। ‘ডান্স বাংলা ডান্স’র মঞ্চও কাঁপিয়েছেন তিনি। এরপর তিনি পৌঁছে যান মুম্বাইতে। সেখানে খরচ চালানোর জন্য কখনও অন্যের বাড়িতে রান্নার কাজ করেছেন তো কখনও আবার আয়ার কাজ করেছেন। ছেলের স্বপ্ন পূরণের জন্য সবকিছুই করেছেন তিনি।

আরও পড়ুন : সলমনের সাথে ঝামেলার জের! প্রভাব খাটিয়ে বরবাদ করতে চেয়েছিলেন এই ৪ অভিনেতার কেরিয়ার

মায়ের এই কষ্টএর দিনগুলির কথা মনে করে চোখে জল আসে রুবেলের। এরপরেই রুবেলকে চমকে দিয়ে মঞ্চে আসেন রুবেলের মা কৃষ্ণা দাস। পোডিয়ামে রুবেলের পাশে এসে দাঁড়ান তিনি। এইদিন রুবেল বলেন, ‘মায়ের বলিদান বলে শেষ করতে পারব না। সব মায়েদেরই বলিদান থাকে। আমার মা একটু বেশিই করেছে। যেই সময় বাবার পাশে থাকার কথা ছিল, তখন পাইনি।’

আরও পড়ুন : জ্বলছে ইজরায়েল-হামাস, প্যালেস্টাইনকে সমর্থন করতেই কাজ হারালেন প্রাক্তন পর্ন তারকা মিয়া খালিফা!

আবেগ তাড়িত গলায় বলেন, ‘মা যেভাবে আমাকে আর আমার দাদাকে মানুষ করেছে। দাদাও বাবার দায়িত্ব নিয়ে পাশে ছিল। সবসময় বলে গেছে, তুই যা স্বপ্ন পূরণ কর। মাও বলত, ছোটবেলা থেকে যেমন যা চেয়েছিস পেয়েছিস, পরেও পাবি। এসব ভাবিস না। তুই নিজের স্বপ্নপূরণ কর।’ উল্লেখ্য, রুবেলের প্রথম পর্দায় কাজ ভানুমতীর খেল। এরপর তাকে দেখা যায়, ‘বাঘ বন্দির খেলা’ তে। তবে পরিচিতি বাড়ে যমুনা ঢাকির সৌজন্যে।

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর