বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: এইমুহূর্তে ভারতের সবচেয়ে বড় স্পোর্টস আইকনদের মধ্যে একজন হলেন নীরজ চোপড়া। টোকিও অলিম্পিকে স্বর্ণপদক জয়ী এই জ্যাভলিন থ্রোয়ার চলতি বছরেও নিজের অসাধারণ ফর্ম অব্যাহত রেখেছেন। কিছুদিন আগেই তিনি সুইটজারল্যান্ডের লাওসনে প্রথম ভারতীয় ক্রীড়াবিদ হিসেবে ডায়মন্ড লীগ জিতেছিলেন। টার্কির তিনি ঝুলি দিন দিন ফুলে-ফেঁপে চলেছে।
It was an honour to visit and donate my Tokyo2020 javelin to the Olympic Museum yesterday. I hope its presence can inspire the younger generation to keep working hard towards their dreams. The occasion was even more special because I had @Abhinav_Bindra sir with me. pic.twitter.com/vkxKPuVIfV
— Neeraj Chopra (@Neeraj_chopra1) August 28, 2022
অলিম্পিকে স্বর্ণপদক জয়ী নীরজ সম্প্রতি একটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যে জ্যাভলিনটি ছুঁড়ে তিনি টোকিও অলিম্পিকে স্বর্ণপদক নিশ্চিত করেছিলেন সেটিকে তিনি দান করেছেন লাওসনের অলিম্পিকে মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষকে। গত রবিবার এই সিদ্ধান্তটি নিয়েছিলেন নীরজ। তার কীর্তি পরবর্তী প্রজন্মকে উৎসাহিত করবে বলে মন্তব্য করেছেন মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ।
সুইজারল্যান্ডের লাওসন শহরের এই অলিম্পিক মিউজিয়ামটি ক্রীড়া ও অলিম্পিক ইতিহাসের যাবতীয় ঐতিহাসিক আর্টিফ্যাক্ট সংগ্রহ করে রাখে। গোটা বিশ্বের ক্রীড়াপ্রেমী মানুষরা সুইটজারল্যান্ড গেলে এই বিশেষ মিউজিয়ামটিতে অবশ্যই একবার ঘুরে যান। প্রায় ১০,০০০ এমন ঐতিহাসিক ক্রীড়াসামগ্রী ওই মিউজিয়ামটিতে গচ্ছিত রয়েছে।
যে অনুষ্ঠানে নীরজ নিজের ওই ঐতিহাসিক জ্যাভলিন মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিয়েছেন সেই অনুষ্ঠানে তার সাথে ছিলেন আরেক তারকা ভারতীয় ক্রীড়াবিদ অভিনব বিন্দ্রা। যারা ভুলে গিয়েছেন তাদেরকে মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য বলা যায় যে ২০০৮ অলিম্পিকে ভারতকে রাইফেল শুটিংয়ে স্বর্ণপদক এনে দেওয়া ক্রীড়াবিদ হলেন অভিনব। ভারতের অলিম্পিক ইতিহাসে এটিই ছিল কোন ব্যক্তিগত বিভাগের প্রথম স্বর্ণপদক। তিনি নিজের স্বর্ণ পদক জয়ের জন্য ব্যবহৃত রাইফেলটি ওই মিউজিয়ামের দান করেছেন গত ২৮ তারিখে।
তার রাইফেলটি দান করে অভিনব বলেছেন, “আমি খুবই উচ্ছ্বসিত যে নীরজের জ্যাভলিনের পাশাপাশি আমার রাইফেলটি অবস্থান করবে অলিম্পিক মিউজিয়াম। এতদিন ভারতেও একা একা ছিল এবার একটা যোগ্য সঙ্গী পেয়েছে।” নীরাজ চোপড়া বলেছেন, “আমার কাছে এই অলিম্পিক মিউজিয়ামে আসা এবং এই জ্যাভলিনটি দান করতে পারা একটা অত্যন্ত গর্বের ব্যাপার ছিল আমি আশা করব এই জ্যাভলিন টি পরবর্তী প্রজন্মকে ক্রীড়া জগতের দিকে এগোতে উৎসাহিত করবে।”