বাংলা হান্ট ডেস্ক: কিছুদিন আগেই ডাক্তারির প্রকাশিকা পরীক্ষার নিটের (Neet Exam) প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠেছিল। সেই থেকে দ্বিতীয়বার পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে সরা হয়েছিলেন পরীক্ষার্থীরা। শেষ পর্যন্ত মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। এসবের মধ্যেই কেন্দ্রীয় টেস্টিং এজেন্সি (National Testing Agency) জানায় যে ১৫৬৩ জন পরীক্ষার্থী, ‘গ্রেস মার্কস’ পেয়েছিলেন, তাদের স্কোরকার্ড বাতিল করে আরও একবার পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গত ৫ মে সারা দেশে ৪৭৫০ সেন্টারে মোট ২৪ লক্ষ পরীক্ষার্থীরা ডাক্তারির পরীক্ষায় বসেছিলেন। ১৪ জুন এই পরীক্ষার রেজাল্ট আউট হওয়ার কথা থাকলেও, গত ৪ জুন, লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের দিনেই নিট পরীক্ষার ফল প্রকাশ্যে আসে। আর তারপরেই মার্কশিটে গ্রেস মার্কস নিয়ে তৈরি হয় তুমুল বিতর্ক।
সেসময় ফল প্রকাশ্যে আসার পর দেখা যায়, একসঙ্গে মোট ৬৭ জন প্রথম হয়েছেন। তারা প্রত্যেকেই ৭২০-র মধ্যে ৭২০-ই পেয়েছেন। যা নিটের মতো সর্বভারতীয় ডাক্তারি পরীক্ষার ইতিহাসে বিরল। ইতিপূর্বে চার জনকে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে প্রথম হতে দেখা গিয়েছিল নিটে। শুধু তা-ই নয়, নিটের ফল প্রকাশ্যে আসার পর দেখা যায়, যে ৬৭ জন ফুল মার্কস পেয়ে প্রথম হয়েছেন, তাঁদের অনেকেই একটি নির্দিষ্ট পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে পরীক্ষা দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: আর এক পয়সাও কাটা হবে না! সরকারি কর্মীদের জন্য নিয়মে বড় বদল, জারি বিজ্ঞপ্তি
তাই স্বাভাবিকভাবেই আগে থেকে প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার অভিযোগ ওঠে। দেখা যায়, নিটে অনেকে এমনও নম্বর পেয়েছেন, যা সাধারণ হিসাবে পাওয়া সম্ভব নয়। যদিও উত্তরে এনটিএ জানিয়েছিল, পরীক্ষাকেন্দ্রে সময় কম পাওয়ায় কয়েক জনকে বাড়তি নম্বর দেওয়া হয়েছিল। পরে সুপ্রিম কোর্টে মামলা উঠলে কেন্দ্রীয় সরকার বাড়তি নম্বর বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয়। এর ফলে যে ১৫৬৩ জনের নম্বর কমিয়ে দেওয়া হয় তাদের দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়।
এরপর ২৩ জুন দ্বিতীয়বার এই পরীক্ষা নেওয়া হয়। দেখা যায় দ্বিতীয় বার ওই পরীক্ষা দিতে বসেছেন মোট ৮১৩ জন। যা মোট পরীক্ষার্থীর থেকে অর্ধেকের কিছু বেশি।যে ছ’টি শহরের পরীক্ষার্থীরা বাড়তি নম্বর পেয়েছিলেন সেখানেও পরীক্ষা নেওয়া হয়। তবে এবার পরীক্ষাকেন্দ্র বদলে যায়। শুক্রবার ওই পরীক্ষার ফল প্রকাশ্যে এনেছে এনটিএ। তাদের ওয়েবসাইটেই ওই ফল প্রকাশিত করার পর রবিবার চূড়ান্ত উত্তরপত্র প্রকাশ করা হয়েছে।