বাংলাহান্ট ডেস্ক: মালদার (malda) মানিকচক কলেজের (manikchak) সদ্য প্রকাশিত মেধা তালিকায় (merit list) এবার দেখা গেল বলিউডের জনপ্রিয় গায়িকা নেহা কক্করের (neha kakkar) নাম। বি এ পাস কোর্স, এডুকেশন অনার্স ও ইংরেজি অনার্স এই তিনটি বিষয়ের জন্য আবেদন করেছেন নেহা!
সবেমাত্র প্রকাশিত হয়েছে মালদার মানিকচক কলেজের মেধা তালিকা। এবার সেই তালিকায় দেখা গেল নেহা কক্করের নাম। বি এ পাস কোর্সের মেধা তালিকায় সবার প্রথমেই নাম রয়েছে গায়িকার। সেই সঙ্গে এডুকেশন অনার্স ও ইংরেজি অনার্সের মেধা তালিকাতেও রয়েছে তাঁর নাম।
বিষয়টি নিয়ে কলেজের প্রিন্সিপলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি ইতিমধ্যেই তাঁর কানে এসেছে। নেহার নাম তালিকা থেকে সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। পাশাপাশি সাইবার ক্রাইম শাখাতেও অভিযোগ জানানো হবে বলে জানান মানিকচক কলেজের প্রিন্সিপল।
এর আগে আশুতোষ কলেজ, বারাসত গভর্নমেন্ট কলেজ ও বজবজ কলেজের মেধা তালিকায় দেখা গিয়েছিল সানি লিওন, মিয়া খলিফা, জনি সিন্স সহ একাধিক পর্ন তারকার নাম। শুরুটা হয় আশুতোষ কলেজ দিয়ে। আশুতোষ কলেজের মেধা তালিকায় সানির নাম ছিল একেবারে প্রথমে। বেস্ট অফ ফোর অর্থাৎ চারটি বিষয়েই একশোয় একশো পেয়েছিলেন তিনি। বজবজ কলেজেও মেধা তালিকায় তাঁর নাম রয়েছে বটে, কিন্তু ১৫১ নম্বরে।
এই বিষয়ে বজবজ কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারন সম্পাদক তমাল বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, কলেজে ভর্তির প্রক্রিয়ার দেখাশোনা করতেন অধ্যক্ষ দেবযানী দত্ত। কিন্তু এই ঘটনার পর তাঁর সঙ্গে আর যোগাযোগ করা যায়নি।
অপরদিকে বারাসত গভর্নমেন্ট কলেজের মেধা তালিকায় রীতিমতো পর্ন তারকাদের মেলা বসেছে। সানি লিওন, মিয়া খলিফা, ড্যানি ড্যানিয়েলস, জনি সিন্স কে নেই সেখানে! ইংরেজি অনার্সের মেধা তালিকার শীর্ষে রয়েছেন ড্যানি ড্যানিয়েলস। তারপর পর্যায়ক্রমে মিয়া খলিফা, সানি লিওন ও জনি সিন্স।পরপর কলেজগুলির এমন ভুল দেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলের ধুম পড়েছে।
‘ভুয়ো’ সানি লিওনের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপও নিয়েছে আশুতোষ কলেজ। লালবাজারের সাইবার ক্রাইম শাখায় মামলা দায়ের করে তদন্তের আর্জি জানানো হয়েছে বলে খবর। আশুতোষ কলেজের ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হওয়ার মেধা তালিকায় প্রথম স্থানে দেখা যায় সানি লিওনের নাম।
বিষয়টি নিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ জানান, এবার করোনা পরিস্থিতির জন্য অনলাইনেই কলেজে ভর্তির আবেদনপত্র জমা পড়েছে। সেই সুযোগে বহু ভুয়ো আবেদনও এসেছে। সানি লিওনের বিষয়টিও তেমনই বলে মনে করছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই ওই ভুয়ো আবেদনকারীর ফোন নম্বর ও আইপি অ্যাড্রেস তুলে দেওয়া হয়েছে লালবাজারের হাতে।