বাংলাহান্ট ডেস্ক : অর্থবান হওয়ার স্বপ্ন সবারই থাকে। তবে অর্থ রোজগারের জন্য প্রয়োজন হয় পরিশ্রম ও অধ্যাবসার। আজকের প্রতিবেদনে আমরা এমন এক উদ্যোগপতির গল্প শোনাতে চলেছি যার নাম হয়ত আগে শোনেননি। তবে এই উদ্যোগপতির সংস্থার তৈরি পণ্য পাওয়া যায় আপনার পাড়ার দোকানেও। বর্তমানে নেপালের সবথেকে ধনী ব্যক্তি হলেন বিনোদ চৌধুরী।
নেপালের (Nepal) সবথেকে ধনী ব্যক্তির উত্থান
ফোর্বসের তালিকায় নেপাল থেকে একমাত্র বিনোদ চৌধুরী স্থান পেয়েছেন ধনকুবের হিসাবে। নেপাল (Nepal) থেকে এই তালিকায় স্থান পাওয়া একমাত্র ব্যক্তি বিনোদ চৌধুরী ১.৮ বিলিয়ন ডলারের মালিক। বিখ্যাত ইনস্ট্যান্ট নুডল ব্র্যান্ড ওয়াই-ওয়াই-এর বিনোদ চৌধুরী বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম একজন সফল উদ্যোগপতি।
ভারত-নেপালসহ একাধিক দেশে ওয়াই-ওয়াই নুডুলস জনপ্রিয়তা লাভ করেছে তারই উদ্যোগে। কাঠমান্ডুর ব্যবসায়ী পরিবারে জন্ম বিনোদ চৌধুরীর। ছোটবেলা থেকেই ঝোঁক ছিল ব্যবসার প্রতি। ইচ্ছা ছিল ভারতে চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্সি নিয়ে পড়াশোনা করার। তবে বাবার শরীর খারাপের জন্য বিনোদ চৌধুরীকে ব্যবসার হাল ধরতে হয়।
আরোও পড়ুন : খুন হয়ে যেতে পারেন যখন তখন, তার আগে বিয়ে সেরে রাখছেন সলমন! পাত্রী কে?
বিনোদ চৌধুরীর জীবনে থাইল্যান্ড ভ্রমণ একটি বড় টার্নিং পয়েন্ট ছিল। সেখানে তিনি ইনস্ট্যান্ট নুডুলসের জনপ্রিয়তা প্রত্যক্ষ করেন। সেখান থেকেই তিনি সিদ্ধান্ত নেন ওয়াই-ওয়াই নুডুলস কোম্পানি প্রতিষ্ঠার। নেপালের বাজার তো বটেই, ভারতের বাজারেও ম্যাগীর মতো সংস্থাকে কড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফেলেছে ওয়াই-ওয়াই নুডুলস।
এছাড়াও বিনোদ চৌধুরী (Binod Chaudhary) ন্যাশনাল প্যানাসনিকের সাথে অংশীদারিত্বে নেপালের (Nepal) সুজুকি গাড়ি প্রচলনের চেষ্টা করেছিলেন। ১৯৯০ সালে বিনোদ সিঙ্গাপুরে সিনোভেশন গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৯৫ সালে নাবিল ব্যাংকের একটি নিয়ন্ত্রক অংশীদারিত্ব অর্জন করেন দুবাই সরকারের তরফে।
ব্যবসায়িক সফলতার পাশাপাশি সমাজের ক্ষেত্রেও বড় অবদান রেখেছেন বিনোদ চৌধুরী। ২০১৫ সালে নেপাল (Nepal) ভূমিকম্পের পর বিপুল পরিমাণ আর্থিক সাহায্য করেন বিনোদ। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি ও স্কুল মেরামতির জন্য বিনোদ প্রায় ২০ কোটি টাকা আর্থিক সাহায্য করেন।