বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বিগত কয়েকদিন ধরে নেপালে রাজনৈতিক উথাপাথল চলছে। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি আর বিরোধী দল রাষ্ট্রপতি বিধ্যা দেবী ভাণ্ডারীর কাছে সাংসদদের স্বাক্ষর করা স্মারকলিপি জমা দিয়ে নতুন সরকার বানানোর দাবি করেছে। কিন্তু রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারী প্রতিনিধি সভা ভঙ্গ করে দিয়েছেন, এবং দেশে নির্বাচনের ঘোষণা করে দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারী দেশে নির্বাচনের জন্য নভেম্বর মাসের তারিখ নির্ধারণ করেছেন। রাষ্ট্রপতি কার্যালয় দ্বারা জারি করা বয়ানে বলা হয়েছে যে, ‘রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারী প্রতিনিধি সভা ভঙ্গ করে দিয়েছেন। তিনি দেশে নির্বাচন করানোর জন্য নতুন তারিখের ঘোষণা করেছেন। এই নির্বাচন ১২ আর ১৯ নভেম্বরের মধ্যে হবে। পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য শের বাহাদুর দেউবা আর কেপি শর্মা ওলির দাবি নস্যাৎ করেছেন।”
ওলি কমিউনিস্ট পার্টি অফ নেপাল-ইউনিফাইড মার্কসবাদী – লেনিনবাদীর সভাপতি। তিনি ১৪ মে সংবিধানের ধারা ৭৬ (৩) অনুযায়ী নেপালের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন। এর ঠিক চারদিন আগেই তিনি সংসদে অবিশ্বাস প্রস্তাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হাসিল করতে ব্যর্থ হন। বলে দিই, নেপালের ২৭৫ সদস্যের প্রতিনিধি সভার মধ্যে ১২১ আসনের সঙ্গে CPN-UML সবথেকে বড় দল ছিল। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করতে ১৩৬ আসনের দরকার। আরেকদিকে, দেউবা ১৪৯ জন সাংসদের স্বাক্ষর করা স্মারকলিপি নিয়ে রাষ্ট্রপতির দফতরে পৌঁছান। কিন্তু ওনার আগেই কেপি শর্মা ওলি স্মারকলিপি দিয়ে সরকার বানানোর দাবি করেন।