বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চীনের সাথে চলা বিবাদের মাঝেই নেপালের (Nepal) প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির (KP Sharma Oli) নেতৃত্বে নেপালের সংসদে সংশোধনী বিল পাশ করিয়ে নেপালের নতুন মানচিত্র প্রকাশ করা হয়। ওই নতুন মানচিত্রে ভারতের (India) তিনটি জায়গাকে নিজের বলে দাবি করে নেপাল। ওই তিনটি জায়গা হল লিপুলেখ, কালাপানি আর লিম্পিয়াধুরা। নেপালের এই নতুন মানচিত্র প্রকাশের ফলে ভারত আর নেপালের সম্পর্কে ফাটল ধরার প্রবল আশঙ্কা ছিল।
যদিও নয়া দিল্লী স্পষ্ট জানিয়ে দেয় যে, নেপালের সাথে সম্পর্ক খারাপ হবে না। যতটা সমস্যা তৈরি হয়েছে সেটা কথাবার্তার মাধ্যমেই ঠিক হয়ে যাবে। এরপরেই বারবার ভারত বিরোধী গতিবিধি আর ভারত বিরোধী বয়ানের পর নেপালি প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির পদত্যাগ চেয়ে বসে দলের নেতারাই। দলের স্ট্যান্ডিং কমিটির ৪০ জনের মধ্যে ৩৩ জনই নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির পদত্যাগের দাবি করা শুরু করেন।
এরপর থেকেই নেপালের রাজনীতিতে বড়সড় ভূমিকম্প দেখা দেয়। শোনা যাচ্ছে যে, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির পতন নিশ্চিত। আর এর প্রধান কারণ হল অত্যাধিক ভারত বিরোধিতা। যদিও এখনো স্পষ্ট হয়নি যে, আদৌ তিনি পদত্যাগ করছেন কি না। আর ওনার পদত্যাগের খবর চাউর হতেই আরও একটি পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করল। নেপালের এই নতুন পদক্ষেপে ভারত-নেপালের সম্পর্ক মজবুত হতে পারে।
প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, নেপাল উত্তরাখণ্ড থেকে সেনার পোস্টিং সরানো শুরু করেছে। উত্তরাখণ্ডে ভারত সীমান্তের পাশে ধারচুলা আর পিথোরাগড়ে সেনা পোস্ট করেছিল নেপাল। আর এবার তাঁরা সেখান থেকে সেনা সরানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ওলির গদি নড়ে যাওয়ার কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অনেকের মতেই এই সিদ্ধান্তে ওলির হাত নেই। আর নেপালের এই পদক্ষেপ সুনিশ্চিত করছে যে, নেপালে ওলির পদত্যাগ সময়ের অপেক্ষা মাত্র।