এবার ভগবান রামকে নাগরিকত্ব দেওয়ার জেদ ধরল নেপাল!

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নেপালের (Nepal) প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির (KP Sharma Oli) বেফালতু মন্তব্যের পর এবার নেপালের পুরাতত্ত্ব বিভাগ নেপালি প্রধানমন্ত্রীর বয়ানকে সত্যি প্রমাণিত করার কাজে জুটল। মনে করিয়ে দিই, দুদিন আগেই নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি বলেছিলেন যে, ভগবান রাম (Lord Ram) নেপালি আর ভারতের অযোধ্যা (Ayodhya) নকল। আসল অযোধ্যা নেপালে আছে। উনি এও বলেছিলেন যে, ভগবান রাম নেপালের রাজকুমার ছিলেন। ভারত সাংস্কৃতিক অতিক্রমণ করে নকল অযোধ্যা বানিয়েছে।

PM 20181207122219
কেপি শর্মা অলি/ KP Sharma Oli

এবার ওনার এই মন্তব্যের পর নেপালের পুরাতত্ত্ব বিভাগ জানিয়েছে যে, তাঁরা খুব শীঘ্রই ভগবান রামের নেপালে জন্ম নিয়ে অধ্যায়নের কাজ শুরু করবে। নেপালের পুরাতত্ত্ব বিভাগের ডিজি দামোদর গৌতম জানিয়েছেন যে, একটি দায়িত্ববাণ সংস্থা হিসেবে দেশে সাংস্কৃতিক আর ধার্মিক স্থল গুলো নিয়ে পুরাতাত্ত্বিক খনন, অনুসন্ধান এবং অধ্যায়ন করার জন্য এসেছি। আর এইজন্য আমরা নিজের দায়িত্ব থেকে পিছু হটতে পারব না, বিশেষ করে যখন দেশের প্রধানমন্ত্রী এমন বয়ান দিয়েছেন, তখন তো একদমই না।

উনি বলেন, ওনার বিভাগ ইতিহাসবিদ, সাংস্কৃতিক বিশেষজ্ঞ, ধার্মিক নেতা, প্রোফেসর আর গবেষকদের সাথে একটি জ্ঞান ভাগাভাগি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। আর এরপর খননের প্রধান স্থান নির্ধারণ করা হবে। পুরাতত্ত্ব বিভাগ জানিয়েছে যে, প্রধানমন্ত্রী ওলির দাবি অনুযায়ী, আপাতত বারার থোরী গ্রামে আপাতত খননকার্য শুরু হবেনা। নেপালের পুরাতত্ত্ব বিভাগ জানিয়েছে যে, তাঁরা বিগত কয়েক বছর ধরে বারা, ধৌসা আর চিতবন জেলায় খননকার্য চালিয়েছে। এই সব গুলো জেলাই নদীর ধারে অবস্থিত।

নেপালের পুরাতত্ত্ব বিভাগ জানিয়েছে যে, ‘আমাদের কাছে প্রমাণ আছে যে এই এলাকা গুলোতে প্রাচীন কালে সভ্যতা ছিল। কিন্তু আমাদের কাছে এটার প্রমাণ নেই যে এখানেই অযোধ্যা ছিল।”


Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর