বাংলাহান্ট ডেস্ক : প্রকাশ্যে এলো নেপালকে (Nepal) মুসলিম রাষ্ট্র (Islamic Country) বানাবার ষড়যন্ত্র। একটি রিপোর্ট বলছে, এই মুহুর্তে নেপালে মোট ২৪টি মুসলিম সংগঠন সক্রিয় আছে। এবং এই সংগঠনগুলি নেপাল-ভারত সীমান্ত (Nepal-India Border) সহ সমগ্র নেপালেই মসজিদ এবং মাদ্রাসা তৈরির কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, এই ২৪ টি সংগঠনকে অর্থ সাহায্য করছে বিদেশের বিভিন্ন মুসলিম কট্টরপন্থী সংগঠন। সংবাদমাধ্যাম সূত্রে খবর, কোটি কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে মূলত মাদ্রাসা ও মসজিদ তৈরি এবং ধর্মান্তরিত করার জন্য।
বিশেষ সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, ভারত – নেপাল সীমান্তে তরাই এলাকায় ৬৯৪ টি মাদ্রাসা এবং মসজিদ ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে গেছে। এর মধ্যে ৩৬৪টি মসজিদ এবং ৩৩০ টি মাদ্রাসা এখনও পর্যন্ত তৈরি করা হয়েছে। খবর আরও আসছে যে, বিগত দুবছরে প্রায় ৫০০ কোটি নেপালে এসেছ পাকিস্তান, তুরস্ক এবং কাতার থেকে। শুধু তাই নয়, ভারত থেকেও একটি কট্টরপন্থী মুসলিম সংগঠন ৪৭ কোটি টাকা নেপালে পাঠিয়েছে বলে জানা গেছে।
ভারত – নেপাল সীমান্তে সর্বত্রই একই পরিস্থিতি। ভারত সীমান্ত থেকে ৫ কিলোমিটারের মধ্যে এমন একটি গ্রাম আছে যেখানে ৪টি মাদ্রাসা রয়েছে। গ্রামবাসীরা জানান, সবকটি মাদ্রাসাই নতুন তৈরি হয়েছে শুধু তাই নয়, গ্রামে সরকারি স্কুল থাকার পরেও, রমরমিয়ে চলছে মাদ্রাসাগুলি। সিদ্ধার্থনগর নামে পই গ্রামে একটি মাদ্রাসা তৈরির কাজ এখনও চলছে। যদিও এসবের টাকা কোথা থেকে আসছে তা জানেন না গ্রামবাসীরা।
কিছুদিন আগেও সশস্ত্র সীমা বলের একটি রিপোর্টে বলা হয় উত্তরপ্রদেশ লাগোয়া নেপাল সীমান্তে শয়ে শয়ে মসজিদ এবং মাদ্রাসা তৈরি হচ্ছে। সেই রিপোর্টেই দাবি করা হয়, নেপালকে মুসলিম রাষ্ট্রে পরিণত করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আর এই উদ্দেশ্যেই চলছে নির্বিচারে চলছে ধর্ম পরিবর্তনের খেলা।
উঠে আসছে আরও একাধিক তথ্য। সীমান্ত এলাকায় সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপও। ভারত লাগোয়া নেপাল সীমান্তে আইএসআই তাদের সদস্যদের পাঠানোর সুযোগেও রয়েছে। প্রায় প্রত্যেক দিনই ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের হাতে একাধিক জঙ্গি নিহত হয় এই এলাকায়। শুধু আইএসআই নয়, জৈশ-ই-মহম্মদ এবং লস্কর-ই-তৈবার মতো জঙ্গি সংগঠনগুলিও নেপালে তাদের ঘাঁটি গাড়ার চেষ্টাও বলেই জানা যাচ্ছে। ভবিষ্যতে এই এলাকার ঘাঁটি থেলে গোরক্ষনাথ মন্দিরেও হামলা চালানো হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ভারতীয় নিরাপত্তা সংগঠনগুলি।