বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নেপালের (Nepal) কমিউনিস্ট পার্টির (Communist Party) অন্দরে চরম বিবাদের সৃষ্টি হয়েছে। দলের অন্দরেই বিরোধিতার সুর শোনা যাচ্ছে। এমনকি দলের নেতারা নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির (KP Sharma Oli) পদত্যাগের দাবি করছে। এর মধ্যে পুষ্পকমল দাহালের (Pushpa Kamal Dahal) নাম সবার আগে আসছে। আর উনিই বলেছেন যে, প্রধানমন্ত্রী ওলি প্রতিটি ইস্যুতেই ব্যর্থ, এরজন্য ওনার ইস্তফা দেওয়া উচিৎ। জানিয়ে দিই, পুষ্পকমল দাহাল নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি।
প্রধানমন্ত্রী ওলি ইস্তফা না দিলে দল ভাগ করার পর্যন্ত হুমকি দিয়েছেন পুষ্পকমল দাহাল। উনি বলেন, ওলির সাথে দলের একতা নিয়ে উনি পস্তাচ্ছেন আর এই একতা ওনার সবথেকে বড় ভুল। পুষ্পকমল দাহালকে দলের দুই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীও সমর্থন করছেন। এর সাথে সাথে ওলি নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির সচিবালয় আর স্থাই সমিতিতে সংখ্যালঘু। আর তিনি এবার পদ বাঁচাতে বড়সড় রদবদলের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
আরেকদিকে, নেপালের প্রধান বিরোধী দল নেপালি কংগ্রেসের সাংসদরা প্রতিনিধি সভায় একটি সংকল্প প্রস্তাব দায়ের করে সরকারের কাছ থেকে চীন দ্বারা কবজা করা নেপালের জমি ফেরত নেওয়া আর কবজা করা জমি গুলোর বর্তমান পরিস্থিতি কি সেটা সংসদে প্রকাশ করার জন্য বলেছে। নেপালি কংগ্রেসের সাংসদ দেবেন্দ্র রাজ, সত্যনারায়ণ শর্মা আর সঞ্জয় কুমার গৌতম বুধবার প্রতিনিধি সভার সচিবালয়ে সংযুক্ত রুপে এই প্রস্তাব দাখিল করেন।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে যে, নেপাল আর চীনের মধ্যে ১৪১৪.৮৮ কিমি সীমান্ত আছে। আর এই সীমান্ত এলাকার অনেক জমিতেই চীন দ্বারা কবজা করা হয়েছে। সংকল্প পত্রে বলা হয়েছে যে, সীমান্তে থাকা ৯৮ টি পিলার ভেঙে চীন নেপালের জমিতে কবজা করে নিয়েছে। আর সংবাদ মাধ্যমে এই খবর ছেয়ে রয়েছে। সরকার এর বাস্তবিক পরিস্থিতি সংসদে অবগত করাক আর চীনের কবজায় থাকা নেপালের মাটি ফেরত নেওয়ার প্রচেষ্টা সম্বন্ধেও জানাক সরকার।
আপনাদের জানিয়ে দিই, চীনের সাথে ভারতের যেমন সীমান্ত নিয়ে একটি উত্তেজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তেমনই নেপালের সাথে সীমান্ত নিয়ে বিবাদ শুরু হয়েছে। বিগত কিছুদিন ধরে নেপাল ভারত বিরোধী অ্যাজেন্ডা চালাচ্ছে। প্রথমে তাঁরা মানচিত্রে বদল আনে, আর এবার তাঁরা ভারতের অনেক জায়গাকে নতুন করে নিজেদের বলে দাবি করছে। আরেকদিকে চীন একের পর এক নেপালের গ্রাম অধিগ্রহণ করছে সেই নিয়ে চুপ নেপাল সরকার।