বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ও মহাত্মা গান্ধীর (Netaji-Gandhiji) নাম একই সুরে উচ্চারিত হলেও, দুজনের পথ ছিল ভিন্ন। একজন বেছে নিয়েছিলেন অহিংসার পথ, অন্যজন সশস্ত্র সংগ্রামের। তবে দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে গান্ধী নাকি বোস, কার অবদান সব থেকে বেশি সেটা নিয়ে চায়ের কাপে তুফান আজও ওঠে।
গান্ধীজি-নেতাজির (Netaji-Gandhiji) সম্পর্ক
স্বাধীনতার এতগুলো বছর পরেও অনেকের কাছেই কৌতূহলের বিষয় গান্ধীজি ও নেতাজির (Netaji-Gandhiji) মধ্যেকার সম্পর্ক। সেই নিয়েই অকপট সুরে কী জানিয়েছিলেন নেতাজি কন্যা অনিতা বসু পাফ? একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অনিতা বসু বলেন, আর পাঁচটা সাধারন সম্পর্কের মতো সম্পর্ক ছিল না সুভাষচন্দ্র ও গান্ধীজির।
গান্ধী বুঝতে পেরেছিলেন তিনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না সুভাষকে (Subhas Chandra Bose)। নেতাজি আবার খুবই শ্রদ্ধা করতেন গান্ধীজিকে (Mahatma Gandhi)। সুভাষচন্দ্র বসুর কন্যা অনিতা বসুর কথায়, “তাঁরা (নেতাজি এবং গান্ধীজি) দুজনেই মহান নায়ক ছিলেন, যাঁরা ভারতের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছিলেন। একজন আরেকজনকে ছাড়া এটি করতে পারতেন না। এটি দু’জনের মধ্যে একটি সমন্বয় ছিল।”
আরোও পড়ুন : টাকা লাগবে না! ২ কাঠা করে জমি দিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার, কারা পাবেন?
পাশাপাশি তার আরোও সংযোজন, “কিছু কংগ্রেস সদস্য দীর্ঘদিন ধরে যে দাবি করার চেষ্টা করে আসছিলেন – শুধুমাত্র অহিংস নীতির হাত ধরেই ভারতের স্বাধীনতা এসেছে – তা ঠিক নয়। আমরা সকলেই জানি যে নেতাজি এবং আইএনএর পদক্ষেপগুলি ভারতের স্বাধীনতায় কতটা অবদান রেখেছিল।”
অনিতা বসুর (Anita Bose) বক্তব্য, “অন্যদিকে, এটা দাবি করাও অযৌক্তিক হবে যে শুধুমাত্র নেতাজি এবং আইএনএ ভারতের স্বাধীনতা এনেছিল। গান্ধীজি এমন একজন যিনি নেতাজি সহ অনেককে অনুপ্রাণিত করেছিলেন।” নেতাজি কন্যা মনে করেন, ভারতের স্বাধীনতা কারোর একার জন্য নয়। দেশের স্বাধীনতায় অবদান রয়েছে লক্ষ লক্ষ মানুষের।