বাংলাহান্ট ডেস্ক : ২০১৯ সালে বিদ্যাসাগর কলেজে বিদ্যাসাগরের আবক্ষ মূর্তি ভাঙা হয়েছিল। সেই মারাত্মক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে। আবারও একবার মূর্তি ভাঙাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল রাজ্য জুড়ে। ২০১৯ সালের ওই মূর্তি ভাঙার পিছনে উঠে আসে অনেক তথ্যই। অভিযোগ ওঠে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মিছিল থেকেই হামলা চালানো হয়েছিল বলে। এই ঘটনা নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। এবার সেই স্মৃতিই আরও একবার মনে করিয়ে দিলো বৃহস্পতিবার সোদপুরের ঘটনায়। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর (Subhas Chandra Bose) মূর্তি ভাঙার অভিযোগ উঠে এল একদল দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে।
সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে সোদপুরের পানিহাটি এলাকার এমএন মুখার্জি রোডের ধারে স্থাপন করা এক নেতাজির মূর্তিকে ভেঙে দুই টুকরো করে দেয় চার যুবক। পুরো ঘটনাটির ভিডিও ফুটেজও ধরা পড়েছে সিসিটিভি ক্যামেরায়। মূর্তিটি সঙ্ঘশ্রী ক্লাবের সামনে।
নেতাজির সুভাষচন্দ্রের মূর্তিতে এমন নৃশংস হামলায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। শুক্রবার সকালে ভাঙা মূর্তি স্থানীয়দের নজরে আসতেই অভিযোগ করা হয় খড়দহ থানায়। পুলিশ এসে পুরো বিষয়টি দেখে তদন্ত শুরু করেছে। কাদের মদতে এই জঘন্য ঘটনা ঘটানো হয়েছে তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে এলাকায়।
তবে অভিযুক্ত চারজনেরই ছবি ধরা পড়েছে সিসিটিভি ক্যামেরায়। জানা যাচ্ছে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে মদ্যপ অবস্থায় এই চার যুবক ভাঙচুর চালায় নেতাজির মূর্তির ওপর। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই রাগে ফুঁসছেন এলাকাবাসী। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিও জানাচ্ছেন তাঁরা। তবে এখনও পর্যন্ত এই ঘটনার জন্য কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি বলেই সূত্রের খবর।
বাংলার রাজনীতিতে এই ঘটনা প্রথম নয়। গত কয়েক বছর ধরেই বিভিন্ন সময় একাধিক কবি, সাহিত্যিক, মনীষীদের নিয়ে ভুলে ভরা তথ্য উঠে এসেছে, যা নিয়ে তোলপাড় হয়েছে রাজ্য জুড়েই। সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মনীষীদের মূর্তি ভাঙার মত ঘটনাও। ২০১৯ সালের সেই বিতর্কিত স্মৃতি আরও একবার তরতাজা হয়ে ফিরে এল সোদপুরের ঘটনায়।