বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ‘অবিভক্ত ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। ব্রিটিশ শাসিত ভারতে আজাদ হিন্দ সরকার গড়ে তুলেছিলেন তিনি’, আচমকাই নেতাজি প্রসঙ্গে প্রশংসাসূচক ধ্বনি উঠে এলো প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের (Rajnath Singh) গলায়। একইসঙ্গে নেতাজিকে (Netaji Subhas Chandra Bose) প্রাপ্য মর্যাদা দেওয়ার ক্ষেত্রে নরেন্দ্র মোদীকে (Narendra Modi) সাধুবাদ জানানোর পাশাপাশি একইসঙ্গে এদিন কংগ্রেসকেও (Congress) কটাক্ষ করেন রাজনাথ।
ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের হাত থেকে ভারতবাসীকে স্বাধীনতা দেওয়ার নেপথ্যে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর কতখানি ভূমিকা রয়েছে, তা আট থেকে আশি, সকলেরই জানা। ভারতকে স্বাধীনতা অর্জন করানোর ক্ষেত্রে নিজের জীবন উৎসর্গ করে দিয়েছিলেন নেতাজি, অথচ পরবর্তী সময়ে তাঁর মৃত্যু কিংবা অন্তর্ধান রহস্য নিয়ে জল্পনার শেষ নেই।
এই প্রসঙ্গে মন্তব্য রাখতে গিয়ে এদিন রাজনাথ সিং বলেন, “অতীতে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর অবদানকে এড়িয়ে যাওয়া হতো। অনেকটা ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁকে প্রাপ্য সম্মান প্রদান করা হতো না। এমনকি সুভাষচন্দ্র বসু সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি প্রয়োজনীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ নথি দেশবাসীর সামনে আনা হয়নি। তবে ২০১৪ সালে দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে নরেন্দ্র মোদী আসার পর থেকে নেতাজিকে প্রাপ্য সম্মান দেওয়া শুরু হয়েছে।”
একইসঙ্গে দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেন, “আমি মন্ত্রিত্ব পদের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে নেতাজির পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। এমনকি ৩০০-র অধিক নথি প্রকাশ করা হয়েছে। দেশবাসীর অনেকের কাছে নেতাজি একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী। তিনি আজাদ হিন্দ ফৌজ তৈরি করেন। তবে অবিভক্ত ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী যে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, এটা অনেকের অজানা।”
এক্ষেত্রে নেতাজির প্রসঙ্গ টেনে কংগ্রেসকে কটাক্ষ করার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপি সরকারের প্রশংসা করলেও এক্ষেত্রে সাম্প্রতিক সময়ের বেশ কয়েকটি ঘটনা কিন্তু অন্য কথা বলছে! অতীতে একাধিক সময় নেতাজির সঙ্গে গুমনামি বাবার মিল নিয়ে একাধিক জল্পনা সৃষ্টি হলেও সম্প্রতি সেন্ট্রাল ফরেনসিক ল্যাবরেটরির তরফ থেকে ডিএনএ-র তথ্য সামনে নিয়ে আসতে অস্বীকার করা হয়। এক্ষেত্রে কারণ হিসেবে সার্বভৌমত্ব, দেশের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়। আর এর মাঝেই রাজনাথ সিংয়ের মুখে নেতাজি-স্তুতি বেশ চমকপ্রদ বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।