বাংলাহান্ট ডেস্ক: বলিউড আর টলিউড (Tollywood), দুই ভাষার দুই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে একসূত্রে বেঁধেছে বয়কট (Boycott) সংষ্কৃতি। বলিউডৈর মতো বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতেও শুরু হয়েছে বয়কটের ট্রেন্ড। ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত হানার গুরুতর অভিযোগ তুলে বাতিল করার ডাক দেওয়া হয়েছে রাজ চক্রবর্তী (Raj Chakraborty) পরিচালিত ‘ধর্মযুদ্ধ’ (Dharmajuddho) ছবিটিকে।
১১ অগাস্ট দিনটাই কি অপয়া? প্রশ্ন তুলছেন অনেকে, কারণ এই দিনেই মুক্তিপ্রাপ্ত তিনটি ছবি ‘লাল সিং চাড্ডা’, ‘রক্ষা বন্ধন’ এবং ‘ধর্মযুদ্ধ’ পড়েছে বয়কটের ফাঁদে। তিনটি ছবির ক্ষেত্রেই অভিযোগ কোথাও না কোথাও এক, ধর্মীয় জিগির। হিন্দি ছবি দুটির ব্যবসার অবস্থা শোচনীয়। সেদিক থেকে ধর্মযুদ্ধ ভাল পরিস্থিতিতে রয়েছে।
কিন্তু এই ছবির বিষয়বস্তুর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই নেটপাড়ায় একাংশ। ছবির ট্রেলার প্রকাশ্যে আসার পর অভিনেত্রী পার্নো মিত্রকে একহাত নিয়ে ধর্মযুদ্ধ বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন বিজেপি নেতা তথাগত রায়। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই সুর চড়িয়েছিলেন বিজেপিরই তারকা সদস্য পার্নোর বিরুদ্ধে।
টুইটে তিনি কটাক্ষ করেছিলেন, ‘আরে, ইনি ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে হিন্দুত্ববাদী একটি পার্টির একজন কামিনী, সরি প্রার্থী, ছিলেন না ? এখন মানুষের পরিচয় বোঝাতে ময়দানে নেমেছেন? বেশ, বেশ! সকলের কাছে আহবান জানাচ্ছি এই ভণ্ডামির সমুচিত উত্তর দিতে। বয়কট করুন ! হিন্দুবিরোধী ভণ্ডামি নিপাত যাক!’
পালটা নাম না করে উত্তরও দিয়েছিলেন ছবির পরিচালক তথা তৃণমূল বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী। কিন্তু পরিবর্তন কিছু হয়নি। সম্প্রতি ফেসবুকে চৌকিদার শ্যামা নামে একটি প্রোফাইল থেকে বড়সড় বার্তায় বিষ্ফোরক অভিযোগ তুলে ‘ধর্মযুদ্ধ’ বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছে। ‘রাজ খান চক্রবর্তী’ বলে কটাক্ষ শানিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, ‘সনাতন ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার সাহস এরা কোথা থেকে পায়?’
পোস্টে ধর্মযুদ্ধ ছবিটিকে বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছে। কমেন্ট বক্সেও হ্যাশট্যাগ বয়কট ধর্মযুদ্ধ কমেন্টে ভরে গিয়েছে। যদিও এই পোস্টে তোলা অভিযোগের সত্যতা যাচাই করেনি বাংলাহান্ট।
সম্প্রতি এক সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে দর্শকদের উদ্দেশে রাজ বার্তা দেন, একবার অন্তত ছবিটা দেখুন। তারপর বাতিলের কথা ভাববেন। পরিচালক বলেন, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির সঙ্গে এই ছবির প্রেক্ষাপট মিলে যায়। কোনো না কোনো রাজনৈতিক দলের ভাবনা জায়গা করে নিয়েছে নিশ্চয়ই। বাকিটা দর্শককে বুঝে নিতে হবে।