৮টি নতুন মেডিক্যাল কলেজের অনুমোদন কি পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ? NMC জানাল আসল সত্যিটা

বাংলাহান্ট ডেস্ক : একটি সংবাদ মাধ্যমে কিছু সপ্তাহ আগে দাবি করা হয় ন্যাশনাল মেডিক্যাল কাউন্সিল বাংলায় আটটি নতুন মেডিক্যাল কলেজের অনুমোদন দিয়েছে। পাশাপাশি এনএনসি নাকি জানায় আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে বৃদ্ধি পাবে এমবিবিএসের আসন। রিপোর্টে এও দাবি করা হয়, বাংলার পাশাপাশি গোটা দেশজুড়ে জমা পড়ে ১১২টি মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের অনুমোদন।

৫৮ টি আবেদন জমা পড়ে আসন বৃদ্ধির। তবে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কাউন্সিল জানিয়েছে এই খবর সম্পূর্ণ ভুল। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কাউন্সিলের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে ভুয়ো খবর থেকে সাবধান থাকতে বলা হয়েছে। একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল বাংলা থেকে ৮টি নতুন মেডিক্যাল কলেজের আবেদন জমা পড়ে।

আরোও পড়ুন : পাকিস্তানে ঢুকে ২০ জন জঙ্গি মেরেছে RAW! ‘নিয়ম মানা যায়না…’, জল্পনা বাড়ালেন জয়শঙ্কর

সেই কলেজের জন্য কাউন্সিলের পক্ষ থেকে নাকি ছাড়পত্রও দেওয়া হয়েছে। এই আটটির মধ্যে রয়েছে একটি সরকারি ও সাতটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ। দাবি করা হয় এই কলেজগুলি নাকি তৈরি হবে খড়গপুর, উত্তর ২৪ পরগনা এবং নদিয়া জেলার দুটি করে এবং পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান ও মুর্শিদাবাদে। তবে এনএমসি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিল এই খবর সম্পূর্ণ মিথ্যা।

আরোও পড়ুন : ।জোরকদমে চলছে চর্চা! পিঙ্কি মজেছেন নতুন প্রেমে? দেখুন, কাঞ্চনের প্রাক্তনের সেই মনের মানুষ কে

পাশাপাশি রিপোর্টে আরও দাবি করা হয়, মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল, মালদা মেডিক্যাল, কামারহাটির সাগর দত্ত মেডিক্যাল, জোকার ইএসআই মেডিক্যাল কলেজ, যাদবপুর কেপিসি মেডিক্যাল কলেজ, দুর্গাপুরের আইকিউ সিটি মেডিক্যাল কলেজ এবং সনকা মেডিক্যাল কলেজে বৃদ্ধি পেতে চলেছে এমবিবিএস আসন সংখ্যা। এনএমসি জানাচ্ছে এই খবরটিও সঠিক নয়।

medical

এনএমসি-র সচিব ডঃ বি শ্রীনিবাস একটি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, এটা ঠিক যে নতুন মেডিক্যাল কলেজ তৈরির জন্য অনেক আবেদন জমা পড়েছে। কাউন্সিলের পক্ষ থেকে সেগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আবেদন খতিয়ে দেখার পর সরকারিভাবে ফলাফল জানানো হবে। সচিব এও জানিয়েছেন, কোনও মেডিক্যাল কলেজে ইউজি বা পিজি আসন সংখ্যার বৃদ্ধির অনুমতিও দেওয়া হয়নি আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর