বাংলাহান্ট ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যুতে জর্জরিত রাজ্য। হকের চাকরি, নিয়োগের দাবিতে রাস্তায় নেমে আন্দোলন চালাচ্ছে হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থী, আদালতে চলছে একাধিক মামলা। যদিও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছে গত বছরের মত এবারও ডিসেম্বর মাসেই প্রাথমিকের টেট পরীক্ষা (Primary TET Exam) হতে চলেছে। ইতিমধ্যেই জোর কদমে চলছে প্রস্তুতি।
পর্ষদ সূত্রে খবর, আগের বছরের মতো এবছরেও প্রাইমারি টেটে কড়া নজরদারি চলবে বলে। আসন্ন টেট পরীক্ষায় নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আরও কড়াকড়ি হবে বলেই জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পুজোর পরেই টেট পরীক্ষা। জানা যাচ্ছে, চলতি বছরের টেটে থাকবে বাড়তি নিরাপত্তা।
পর্ষদ সূত্রে খবর, সিসিটিভি নজরদারির পাশাপাশি থাকবে বায়োমেট্রিক প্রক্রিয়াও। পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতেও যথেষ্ট নিরাপত্তা বজায় রাখা হবে। পরীক্ষা কেন্দ্রগুলির নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে আরও বেশি নজর দেবে পর্ষদ ও রাজ্য প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, প্রাথমিকের টেট (TET) পরীক্ষায় এ বছর অনেকটাই কমছে পরীক্ষার্থীদের সংখ্যা। ২০২৩ এর টেটে আবেদনের সংখ্যা ৫০% কমতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। চলতি টেটে বসার জন্য ১৪ ই সেপ্টেম্বর অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়। ৪ অক্টোবর আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। তবে যারা আবেদন করেও টাকা জমা দেননি তাদের জন্য ৫ তারিখ পর্যন্ত সময় দিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তবে জানা যাচ্ছে ২০২৩ এ টেটে বসতে চলেছে এমন পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় অর্ধেক হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: অপেক্ষার অবসান! অবশেষে এই দিন বাড়ছে সরকারি কর্মীদের DA, একসাথে জোড়া সুখবর আসছে
উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে এবছর টেটে বসার জন্য কিছু পরীক্ষার্থী-এর ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। গত বছর থেকে নিয়মে এসেছে পরিবর্তন। কিছুদিন আগে নিয়োগ সংক্রান্ত এক মামলার রায় দিতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয় প্রাথমিক (Primary) স্কুলে শিক্ষকতা করতে হলে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের D.El.Ed বা D.Ed ডিগ্রি থাকতেই হবে। অর্থাৎ কারও যদি বিএড ডিগ্রি থেকে থাকে সেক্ষেত্রে সেই সমস্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা প্রশিক্ষণ থাকা সত্ত্বেও এবার থেকে প্রাথমিকে আবেদন করতে পারবে না।
যদি কোনও চাকরিপ্রার্থীর B.Ed এবং D.El.Ed বা D.Ed উভয় প্রশিক্ষণই নিয়ে থাকেন তবে প্রাথমিকে অবশ্যই চাকরি করতে পারবেন। সেই নির্দেশ মেনেই বিএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা এবার থেকে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগে অংশ নিতে পারবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছে পর্ষদ। তাই আবেদনকারীর সংখ্যাটাও আগের থেকে কমে গিয়েছে বলে জানিয়েছে পর্ষদ।
পর্ষদ জানিয়েছে, গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে ডিএলএড ও বিএড পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন প্রায় এক লাখ পঞ্চাশ হাজার পরীক্ষার্থী। তবে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মতো এর মধ্য থেকে প্রায় ৯৭ হাজার পরীক্ষার্থী এ বছর প্রাথমিকের টেট পরীক্ষায় আবেদন করতে পারবে না।