বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ নথি থেকে শুরু করে সোনার গয়না, এক্কেবারে সুরক্ষিত রাখতে আজকালকার দিনে গৃহস্থরা ভরসা রাখেন ব্যাঙ্কের (Bank) লকারের উপরেই। ইতিমধ্যেই ভারতীয় ব্যাঙ্কগুলি লকার পরিষেবার নিয়মাবলির ক্ষেত্রে একাধিক রদবদল করেছে। নয়া চুক্তি প্রকাশিত হওয়ার পর গ্রাহকদেরকে সেই চুক্তিতে স্বাক্ষর করার কথা জানিয়েও দেওয়া হয়েছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের তরফে।
ইতিমধ্যেই এই নতুন লকার চুক্তির বিষয়ে পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক (PNB)-এর মতো বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকেই বহু গ্রাহকের কাছে এসএমএসের মাধ্যমে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে। PNB-র জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘RBI-এর নির্দেশিকা অনুযায়ী, এই নয়া লকার চুক্তিতে আগামী ৩১ ডিসেম্বর ২০২২-এর আগেই সই করতে হবে। ইতিমধ্যেই তা করা না হয়ে থাকলে দ্রুত সেরে ফেলুন – টিম PNB।’
এদিকে, ২০২১ সালের ৮ই অগাস্ট ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক একটি সংশোধিত নির্দেশিকা প্রকাশ করে স্পষ্ট উল্লেখ করে যে, লকার মালিকদেরকে ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে চালু হওয়া এলিজিবিলিটি ও রিনিউয়াল চুক্তিতে আগামী এক বছরের মধ্যে সই করতে হবে। অর্থাৎ, ১ জানুয়ারি ২০২৩-এর আগেই তা সারতে হবে বলে জানানো হয়েছিল।
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখা দরকার, একটি লকার যখন কোন ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে কোনও গ্রাহককে ভাড়া দেওয়া হয়, তখন স্ট্যাম্প পেপারের মাধ্যমে উক্ত ব্যাঙ্ক এবং গ্রাহক একটি চুক্তি করেন। সই করার পর সেই লকার চুক্তির একটি জেরক্স কপি লকার ভাড়া নেওয়া গ্রাহকের হাতে দিয়ে তার অধিকার এবং দায়িত্বের বিষয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়। তবে, চুক্তির মূল কপিটি ব্যাঙ্কের শাখার কাছেই থাকে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, RBI-এর নির্দেশিকা অনুসারে, সেফ ডিপোজিট ভল্টের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ব্যাঙ্কের দায়িত্ব। গ্রাহকদের প্রতারণা থেকে রক্ষা করার জন্য, আরবিআই নির্দেশ দিয়েছে যে, প্রতিটি গ্রাহক যেন তাঁর লকার অ্যাক্সেস করার সময়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক থেকে SMS এবং ই-মেল পান। পাশাপাশি, ব্যাঙ্ক চাইলে লকার বরাদ্দ করার সময়ে তিন বছরের জন্য লকারের ভাড়া হিসাবে একটি মেয়াদী আমানতও (TD) চালু করতে পারে। তবে বর্তমানে যাদের লকার আছে, তাদের ক্ষেত্রে অবশ্য এই ধরনের মেয়াদী আমানত করতে জোর করা যাবে না।