বাংলাহান্ট ডেস্ক : বর্তমানে বেকার যুবক-যুবতীর সংখ্যা বাড়ছে হু হু করে। পড়াশোনা শেষ করে অনেকেই চাকরির খোঁজ করতে থাকেন, কিন্তু সরকারি চাকরি পাওয়া এখন বিড়ালের ভাগ্যে শিঁকে ছেড়ার মত। তাই অজ্ঞত্য ব্যবসার (Business) পরিকল্পনা করছেন বর্তমান প্রজন্মের যুবক-যুবতীরা। কিন্তু কম পুঁজিতে কোন ব্যবসায় পা ফেলা যায় তা বুঝে উঠতে পারেন না অনেকেই।
মাশরুম ব্যবসায় (Business) ব্যাপক লাভ
আজকের প্রতিবেদনে আপনাদের সেরকমই একটি ব্যবসায়ীক পরিকল্পনার (Business Tricks) কথা জানাবো। যেখানে নামমাত্র পুঁজি থাকলে শুরু করতে পারবেন এই ব্যবসা। মাশরুম চাষ করুন। খুব অল্প সময়ে মোটা টাকা আয় (Income) করা যায় মাশরুম চাষ করে। বর্তমানে এর চাহিদাও তুঙ্গে। প্রতি বছর ভারতে প্রায় ১ লক্ষ ৪৪ হাজার মেট্রিক টন মাশরুম চাষ হয়।
আরোও পড়ুন : “আমাকে আঘাত করলে টর্নেডো, সাইক্লোন হয়ে যাই,” হঠাৎ একথা কেন বললেন মমতা?
সব থেকে বড় কথা মাশরুম চাষের জন্য জমির প্রয়োজন পড়ে না। একটি ঘর থাকলেই যথেষ্ট। আর পুঁজিও লাগবে নামমাত্র। বর্তমানে যেভাবে মাশরুমের চাহিদা বাড়ছে ভবিষ্যতে আরও বাড়বে বলে আশাবাদী বাজার বিশেষজ্ঞরা। মাশরুম ব্যবসা (Business) জন্য যদি আপনার ঘর না থাকে তাহলেও চিন্তা নেই। আপনি বাঁশের মাচা তৈরি করেও চাষ করতে পারেন।
আরোও পড়ুন : মিলবে বাড়তি মেট্রো! রবিবার WBCS দিতে যেতে নো প্রবলেম! ভোগান্তি এড়াতে দেখুন সময়সূচি
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতি বর্গমিটারে প্রায় ১০ কেজি মাশরুমের ফলন হয়। কমপক্ষে ৪০x৩০ ফুট জায়গায় ৩ ফুট চওড়া র্যাক হলেই মাশরুম চাষ শুরু করা যায়। শুধু একটা কথা অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে, তা হল ঘরে যেন সূর্যের আলো না প্রবেশ করে। মাশরুম চাষের জন্য আদর্শ তাপমাত্রা হল ১৫ থেকে ২২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড।
বীজ রোপনের দেড় মাসের মধ্যেই ফলন শুরু হয়ে যায়। মাশরুম চাষের জন্য মাটি তৈরি করা হয় গম, ছোলা, সয়াবিন ও অন্যান্য শস্যের ভুষি মিশিয়ে। এই মিশ্রণটা মোটামুটি ছয় থেকে আট ইঞ্চির একটা স্তর করতে হয়। এরপর বীজ রোপন করতে হয়। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে তাপমাত্রার দিকে।
মাশরুম চাষে প্রাথমিক ভাবে খরচ পড়ে ৫০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত। এক কেজি মাশরুম চাষে খরচ হয়ে থাকে ২৫ থেকে ৩০ টাকা। তবে ফলনের পর লাভ আছে প্রচুর। ভাল মানের মাশরুম কেজি প্রতি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হয় বাজারে। ফলে এই ব্যবসা (Business) থেকে দশ গুণ পর্যন্ত বেশি লাভ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।